শিরোনাম
দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় চীনা ও রুশ যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় বুধবার (৩০ নভেম্বর) ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। দেশটির সংবাদ সংস্থা ইয়োনহ্যাপ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, চীন ও রাশিয়ার এমন আচরণকে অনাকাঙ্ক্ষিত দাবি করে নিজেদের আকাশসীমা নিরাপদ রাখতে তোড়জোড় শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এরই মধ্যে বিমানবাহিনীকে যুদ্ধবিমানগুলো প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে ইয়ুন সুক ইয়ল প্রশাসন।
স্থানীয় সময় বুধবার (৩০ নভেম্বর) ভোরের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমার এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে (এডিআইজেড) প্রবেশ করে চীনের কয়েকটি এইচ-৬ বোমারু বিমান ও রাশিয়ার অন্তত ছয়টি বোমারু বিমান।
দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাহী সেনা কর্মকর্তারা (জয়েন্ট চিফস অব স্টাফস) জানান, পূর্বদিক থেকে জাপান সাগর পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার এডিআইজেড এলাকায় প্রবেশ করেছিল রুশ ও চীনা যুদ্ধবিমান। তবে বিমানগুলো মূল আকাশসীমায় তারা প্রবেশ করেনি।
তারা আরও জানান, সামরিক বাহিনীর পাল্টা যুদ্ধবিমান পাঠানোর আগেই বিমানগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার এডিআইজেড ত্যাগ করে।
দেশটির সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ধরণের ঘটনা আকস্মিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। পরবর্তী সময়ে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে— সেজন্য এরই মধ্যে বিমানবাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সামরিক বাহিনীর নির্দেশ অনুযায়ী যুদ্ধবিমানগুলো এক জায়গায় রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনী। যেকোনো অনুপ্রবেশ ঠেকাতে প্রস্তুত ও ব্যাপক সতর্ক অবস্থানে আছে তারা।
নামবিহীন পর্যবেক্ষকদের যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশটির সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানায়, বেইজিং ও মস্কো যৌথ বিমান মহড়া শুরু করেছে। তারই অংশ হিসেবে বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার এডিআইজেডে প্রবেশ করে তাদের বিমানগুলো।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনকে চিঠি দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানে তিনি বলেন, বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কাজ করতে চায় চীন।
কিম জং উন ওই চিঠির জবাব দিয়েছেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। তবে এ চিঠি পাঠানোর পরপরই, ভবিষ্যতে উত্তর কোরিয়া এশিয়ায় চীনের নির্ভরযোগ্য মিত্র ও অংশীদার হতে যাচ্ছে বলে পূর্বাভাস দেয় জো বাইডেন প্রশাসন।
এদিকে, গত মাসেই সবচেয়ে বড় যৌথ বিমান মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। গত শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। তাই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্টের মিত্রতা স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশের পর থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ওয়াশিংটন।