শিরোনাম
গত পাঁচ বছরে অপ্রতিরোধ্য প্রবৃৃ্দ্ধি দেখেছে সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তিশিল্প। কিন্তু ২০২২ সালে এই খাত ব্যাপক অস্থিরতার স্বাক্ষী হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতির ধীর গতিই এর মূল কারণ।
চলতি বছর বড় অথবা ছোট প্রযুক্তি কোম্পানি হাজার হাজার পদ শূন্য করেছে। এক্ষেত্রে কোম্পানির নির্বাহী প্রধানরা মূল্যস্ফীতি, সুুদের হার বৃদ্ধি, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন থেকে কম আয়ের কথা উল্লেখ করেছেন। কারণ এসব নেতিবাচক সূচকগুলো প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর চাপ বাড়িয়েছে। ফলে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হয় কোম্পানিগুলোকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনৈতিক ধীর গতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রযুক্তিশিল্প। প্রায় প্রত্যেকটি কোম্পানি কমবেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে। এনবিসির জরিপে দেখা গেছে, এই বছর প্রায় ৮৯ হাজার মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছে।
লেঅফডটএফওয়াইআই এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই পরিসংখ্যানে ছোট প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। মনে করা হচ্ছে, এক্ষেত্রে মোট এক লাখ ৩৭ হাজার কর্মী চাকরি হারাচ্ছে এই বছর। বছর শেষ হতে এখনো এক মাস বাকি রয়েছে।
কম্পিউটার নির্মাতা হেউলেট প্যাকার্ড ২২ নভেম্বর এক বিবৃতিতে বিশ্বজুড়ে প্রায় চার থেকে ছয় হাজার কর্মী ছাঁটায়ের কথা ঘোষণা করেছে।
সম্প্রতি টুইটার কিনেছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। এরপর তিনি কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেন। বলা হয়েছে, দুই হাজার তিনশ কর্মী ছাঁটাই করছেন তিনি।
অ্যামাজনও তাদের কর্মী ছাঁটাই করার ঘোষণা দিয়েছে। জানা গেছে, ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে প্রতিষ্ঠানটি। মার্কিন গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাঁটাই হতে যাওয়া কর্মীদের বেশিরভাগই অ্যামাজনের ডিভাইস ইউনিটের। এছাড়া সংস্থার রিটেইল বিভাগ এবং মানবসম্পদ বিভাগেও কর্মী ছাঁটাই হবে। শুধু তাই নয়, কর্মী নিয়োগও স্থগিত করা হয়েছে।
মার্ক জাকারবার্গ প্রতিষ্ঠিত ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা বড় কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোট কর্মশক্তির ১৩ শতাংশ বাদ দেওয়া হবে। এতে ১১ হাজারের বেশি কর্মী চাকরি হারাতে যাচ্ছেন। একইভাবে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে সিলিকন ভ্যালির প্রায় সব প্রযুক্তি কোম্পানি।