শিরোনাম
কাতার বিশ্বকাপে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ফ্রান্সসহ সব কয়টি ফেভারিট দল। তাদের ফুটবল দক্ষতা দেখতে সারাবিশ্ব থেকে উপসাগরীয় দেশটিতে পৌঁছেছেন লাখ লাখ দর্শক। আশ্চর্যজনকভাবে, সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী গেছেন যেসব দেশ থেকে তাদের মধ্যে প্রথম চারটি দেশের কেউই বিশ্বকাপে ফেভারিট নয়। এমনকি, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যে দেশ, সেটি বিশ্বকাপেই অংশ নিতে পারেনি।
কাতারি সংবাদমাধ্যম দ্য পেনিনসুলার খবর অনুসারে, বিশ্বকাপ দেখতে কাতারে সবচেয়ে বেশি মানুষ গেছেন সৌদি আরব থেকে। এরপর রয়েছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, আর্জেন্টিনা, মিসর, ইরান, মরক্কো ও সুদান।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, কাতার ট্যুরিজমের চিফ অপারেটিং অফিসার বার্থহোল্ড ট্রেঙ্কেল রোববার দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনের ফাঁকে তাদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
প্রায় এক মাস ধরে চলবে ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম এই আসর। এটি দেখতে প্রায় ১২ লাখ দর্শনার্থী কাতারে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ট্রেঙ্কেল বলেছেন, কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া দর্শনার্থীদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই এসেছেন শীর্ষ ১০টি দেশ থেকে। সবচেয়ে বেশি ১১ শতাংশ সৌদি আরব থেকে। এরপর নয় শতাংশ দর্শনার্থী ভারত থেকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাত শতাংশ, মেক্সিকো ও যুক্তরাজ্য উভয় দেশ থেকে ছয় শতাংশ, আর্জেন্টিনা থেকে চার শতাংশ এবং মিসর, ইরান, মরক্কো ও সুদান থেকে তিন শতাংশ করে ফুটবলপ্রেমী দর্শনার্থী পেয়েছে কাতার।
টুর্নামেন্টের আগেও সৌদি আরবের দর্শনার্থীরা তালিকার শীর্ষে ছিলেন। কাতার ট্যুরিজমের এ কর্মকর্তা জানান, এক-তৃতীয়াংশ দর্শনার্থী এসেছে জিসিসি-ভুক্ত দেশগুলো থেকে। স্পষ্টতই এতে শীর্ষে সৌদি আরব। ৯৫ শতাংশ দর্শনার্থী সৌদি থেকে স্থলপথে এসেছেন। ওমান থেকে এসেছেন ৫৭ শতাংশ। দেশটি কাতার থেকে স্থলপথে মাত্র ১২ ঘণ্টার দূরত্বে। তালিকায় এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কুয়েত।
তিনি জানান, তারা পর্যটন শিল্পের পুনরুদ্ধার দেখতে পাচ্ছেন, বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে। তিনি আশাপ্রকাশ করেছেন, চীনও সীমান্ত খুলে দেবে এবং বাসিন্দাদের ভ্রমণের অনুমতি দেবে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় চীনের অধিকাংশ সীমান্ত এখনো বন্ধ।
ট্রেঙ্কল বলেন, কাতার ট্যুরিজম ‘বড় বাজারগুলো’র মধ্যে মধ্য ইউরোপ, অর্থাৎ যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সকে টার্গেট করেছে। দূরের দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া তাদের অগ্রাধিকার বাজারগুলো হলো যুক্তরাজ্য, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন ও রাশিয়া।