শিরোনাম
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। রাষ্ট্র-জনগণের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে পারমাণবিক বাহিনী গড়ে তোলা হচ্ছে।
রোববার (২৭ নভেম্বর) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা কেসিএনএ’র বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানায়।
জানা গেছে, সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের সঙ্গে জড়িত কয়েক ডজন সামরিক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছেন কিম জং উন।
১৮ নভেম্বর হোয়াসং-১৭ নামে নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উৎক্ষেপন করে পিয়ংইয়ং। অত্যাধুনিক এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নিজেই তত্ত্বাবধান করেন কিম জং উন।
গত সপ্তাহেই নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে মার্কিন পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দেন কিম জং উন। এর সপ্তাহখানেক পরেই পারমাণবিক শক্তিতে সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশ হয়ে ওঠার পরিকল্পনার কথা জানালেন তিনি।
আইএসবিএম উৎক্ষেপণের সঙ্গে জড়িত থাকা সামরিক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ঘোষণার আগে কিম বলেন, আমার প্রধান লক্ষ্য- উত্তর কোরিয়াকে এমন পরমাণবিক শক্তিতে সমৃদ্ধ করা, যা এ শতাব্দীতে নজিরবিহীন হয়ে থাকবে।
তিনি হোয়াসং-১৭ কে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগত অস্ত্র বলে দাবি করে বলেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী তৈরি করার জন্য উত্তর কোরিয়ার সংকল্প ও ক্ষমতাকে তুলে ধরেছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে সেনাবাহিনী ও পারমাণবিক অস্ত্রের ভান্ডার সমৃদ্ধ করার কাজ করে যাবো।
কিম আরও বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীরা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক ওয়ারহেড স্থাপন প্রযুক্তির উন্নয়নে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছেন। আশা করি, তারা এমনভাবেই দেশের পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রসারিত ও শক্তিশালী করার কাজ করে যাবেন।
এদিন আইসিবিএম উৎক্ষেপণের সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, সামরিক কর্মকর্তাসহ অন্যদের সঙ্গে ছবিও তোলেন কিম। এসময় উপস্থিত সবাই উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বস্ত থাকার শপথ নেন।
এছাড়া উপস্থিত কর্মকর্তারা কিম ও তার দলের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব’ রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন। এমনকি, কিম জং উন যেদিকে বলবেন ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সেদিকেই নিক্ষেপ করা হবে বলে জানান তারা।
কেসিএনএ জানায়, পদোন্নতি প্রদাণ অনুষ্ঠানে কিম জং উনের মেয়েও উপস্থিত ছিলেন। অনেকের ধারণা, আইসিবিএম পরীক্ষায় উনের মেয়ের অপ্রত্যাশিত উপস্থিতি এটাই জানান দেয় যে, দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃত্ব কিম পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের কাছে যেতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স