শিরোনাম
যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে অভাবনীয় সিদ্ধান্ত। বাড়তি বেতনের দাবিতে ১৫ ও ২০ ডিসেম্বর ধর্মঘটে শামিল হবেন ব্রিটেনের নার্সরা।
ওই দুই দিন যুক্তরাজ্যে আরও অনেক খাতের কর্মীরা ধর্মঘট করবেন। নার্সরা সেখানে বিপুল সংখ্যায় যোগ দেবেন। যুক্তরাজ্যে এই প্রথমবার ধর্মঘটে শামিল হবেন নার্সরা।
রয়্যাল কলেজ অব নার্সিং (আরসিএন)-এর পক্ষে জানানো হয়, সরকার তাদের দাবি মানেনি। মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। তাই তারা বেতন বাড়ানোর দাবি করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে স্কটল্যান্ড বাদ দিয়ে ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের নার্সরা ধর্মঘটে শামিল হবেন।
আরসিএনের সাধারণ সম্পাদক প্যাট কুলেন জানান, নার্সিংয়ের কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে কম পয়সায় কাজ করছেন, কর্মক্ষেত্রে তারা নিরাপদ নন। তারা আর এসব সহ্য করতে রাজি নন।
সরকার আলোচনা ভেঙেছে : আরসিএন
কুলেন বলেন, সরকার আনুষ্ঠানিক আলোচনাতেও রাজি হয়নি। তারা দুই সপ্তাহ আগে ঘোষণা করেছিলেন, দাবি না মানলে ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবেন। কিন্তু দুই সপ্তাহ কেটে গেছে।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের সদস্যদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, তারা কি এই অন্যায় আচরণ মেনে নেবেন, নাকি প্রথমবারের জন্য ধর্মঘটে যাবেন? সরকার চাইলে এখনও আলোচনায় বসতে পারে, আমাদের দাবি মেনে নিতে পারে।
রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি
ইউনিয়নের এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক চাপে পড়বেন। গত মাসে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক ১ শতাংশ। ৪১ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। শুধু নার্সরা নয়, বিভিন্ন খাতের কর্মীরা বেতন বাড়ানোর দাবি করছেন।