শিরোনাম
জেরুজালেমে দুটি আলাদা স্থানে বিস্ফোরণে একজন নিহত ও অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। বিশেষ করে বাসস্ট্যান্ডে জনসমাগম লক্ষ্য করে এ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ইসরায়েলের চিকিৎসকরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে শহরের একটি বাসস্ট্যান্ডে রাখা ডিভাইস থেকে। এতে ১১ জন আহত হন। পরে তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হলে একজনের মৃত্যু হয়।
দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে শহরের আরেক পাশে একটি বাসস্ট্যান্ডে। সেখানে আহত হন আরও তিনজন।
ইসরায়েলি পুলিশের দাবি, ফিলিস্তিনিরা এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
চলতি বছর ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। এরই জেরে পশ্চিম তীরে অভিযান জোরদার করে ইসরায়েলি পুলিশ।
কিন্তু জেরুজালেমে বিস্ফোরক ব্যবহার করে কয়েক বছরের মধ্যে এ ধরনের হামলা একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে এ বছর দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানে অন্তত একশ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো শঙ্কা প্রকাশ করছে এবং তাদের পরিসংখ্যান বলছে যে নিহত ফিলিস্তিনিদের প্রায় এক পঞ্চমাংশ শিশু, যাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ হচ্ছে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর। পশ্চিম তীরে নিহত সর্বকনিষ্ঠ ফিলিস্তিনি ছিলেন ১৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ সালাহ। গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় সালাহ।
নিহতদের তালিকায় রয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠীর বন্দুকধারী, কিশোর ও যুবক যারা কথিত পাথর বা পেট্রল বোমা নিক্ষেপের পরে গুলিবিদ্ধ হয়। নিরস্ত্র বেসামরিক লোক, পথচারী, বিক্ষোভকারী এবং ইসরায়েলি বসতিবিরোধী কর্মীরা। ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপর ছুরি হামলা বা অন্য অস্ত্র নিয়ে সন্দেহভাজন হামলাকারী ব্যক্তিরাও রয়েছেন এ তালিকায়।
ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা অভিযোগ করছেন যে, ‘মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্র’ বানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
১৯৬৭ সালে ৬ দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পশ্চিম তীর দখল করে নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে বিভিন্ন দফায় সেখানে বসতি স্থাপন করেছে দেশটি। পশ্চিম তীরে বর্তমানে প্রায় ছয় লাখ ইসরায়েলি ইহুদির বাস। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এটাকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হয়।
সূত্র: বিবিসি, টিআরটি ওয়ার্ল্ড