শিরোনাম
উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন প্রথমবারের মতো তার মেয়েকে প্রকাশ্যে আনলেন। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের মূলখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম এমন একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সময় মেয়েকে সবার সামনে আনেন কিম। তবে মেয়েটির নাম জানা যায়নি।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, শুক্রবার হোয়াসং- ১৭ নামের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং। এ সময় মেয়েকে নিয়ে হাজির হন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা।
কেসিএনের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, সাদা রঙের জ্যাকেট পরে বাবার হাত ধরে দাঁড়িয়ে আছে কিমের মেয়ে। বাবার গায়ে বাদামি রঙের জ্যাকেট। বাবার হাত ধরে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা দেখছে সে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্টিমসন সেন্টারের উত্তর কোরিয়া বিষয়ক গবেষক মিশেল ম্যাডেন বলেন, এই প্রথম কোনো উপলক্ষে কিম জং উনের মেয়েকে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। হয়তো যোগ্য উত্তরসূরি নিশ্চিতের অংশ হিসেবে মেয়েকে প্রকাশ্যে এনেছেন কিম।
‘বিষয়টি কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন থেকে হয়তো মেয়েকে এভাবেই সবার সামনে নিয়ে আসবেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।’
এ গবেষক আরও বলেন, ধারণা করা হয় কিম জং উনের তিনটি সন্তান রয়েছে। যাদের মধ্যে দুটি মেয়ে ও একটি ছেলে। পর্যবেক্ষকদের দাবি- গত সেপ্টেম্বরে জাতীয় ছুটির দিন উদযাপনের একটি ভিডিওতে তার আরেক সন্তানকে দেখা যায়।
২০১৩ সালে উত্তর কোরিয়া ভ্রমণ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত বাস্কেটবল তারকা ডেনিস রডম্যান। তিনি বলেছিলেন, কিমের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে, যার নমা চু এ।
যুক্তরাষ্ট্র ঘোরবিরোধী হলেও নিয়মিত নাকি দেশটির বাস্কেটবল ম্যাচগুলো দেখেন কিম জং উন। ডেনিস রডম্যান তার প্রিয় বাস্কেটবল খেলোয়াড়। ২০১৩ সালে একটি ডকুমেন্টারির ভিডিও ফুটেজ নিতে উত্তর কোরিয়ায় জান ডেনিস। সেখানে কিম ও তার পরিবারের সঙ্গে বেশ খানিক সময় কাটান তিনি।
গবেষক ম্যাডেন বলছেন, ডেনিসের তথ্য অনুযায়ী- কিমের বড় মেয়ের চু অ্যা’র বয়স ১২-১৩ বছর হবে। সেই মেয় এখন ইউনির্ভাসিটিতে পড়ছে, না হলে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবনকে বরাবরই গোপন রাখতে পছন্দ করেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন।
শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলীয় শহর ওনসান থেকে জাপান সাগরে আরও একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে কিম জং উন প্রশাসন। ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপ থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার পশ্চিমে জাপান সাগরে গিয়ে পড়ে।
সামরিক গবেষকদের মতে, শুক্রবার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৫ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখে, যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছানোর ক্ষমতা সম্পর্কে জানান দেয়া।