শিরোনাম
এবারের জি-২০ সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। সম্প্রতি দেশটির রাজধানী বালিতে সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যকার দ্বন্দ্ব দূর করারও আহ্বান জানান তিনি।
সম্মেলনে উপস্থিত বিশ্বনেতাদের উদ্দেশ্য করে জোকো উইদোদো বলেন, আমি জানি যে, এক ছাদের নিচে সবাইকে নিয়ে বসা খুব একটা সহজ কাজ নয়। এর জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার দরকার আছে।
তিনি আরও বলেন, আরেকটি স্নায়ুযুদ্ধ হজম করার সামর্থ্য পৃথিবীর নেই। জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর উচিৎ যুদ্ধ বন্ধ করার উপযুক্ত-কার্যকরী উপায় খোঁজা।
রাশিয়াকে উদ্দেশ্য করে জোকো উইদোদো বলেন, যুদ্ধের জন্য দায়ী থাকা মানে এই না যে, আর কিছু করার নেই। দায়ী থাকা মানে কীভাবে এটি শেষ করা যায় তার জন্যও পদক্ষেপ নেওয়া। এ যুদ্ধ চলতে থাকলে পৃথিবী কোনোভাবেই স্বাভাবিক গতিতে এগোতে পারবে না।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা যেমন বেড়েছে, তেমনি সারাবিশ্বে খাদ্য ও জ্বালানির দাম আকাশ ছুঁয়েছে। এবারের জি-২০ সম্মেলনেও বিশ্ব খাদ্যনিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
সম্মেলনের একদিন আগে সোমবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তিন ঘণ্টার বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও তাইওয়ান নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও কথা বলেছেন শি জিনপিংয়ের সঙ্গে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, জো বাইডেন এ সম্মেলনকে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য চলমান সংঘাতের ভবিষ্যৎ পরিণতি মোকাবিলার উপায় খোঁজার ক্ষেত্র হিসেবে দেখছেন। বৈশ্বিক খাদ্য-জ্বালানি নিরাপত্তা ও ঋণ সংস্কারের মতো বিষয়গুলোতে জোর দেবেন তিনি।
এদিকে, এবারের সম্মেলনে যোগ দেননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার বদলে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তাছাড়া, পুতিন অনলাইনে কোনো বৈঠকে অংশ নেবেন কি না, সে ব্যাপারে এখনো কিছু জানা যায়নি।
অন্যদিকে, জি-২০ জোটের সদস্য না হয়েও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ সম্মেলনের বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বলে জানা গেছে।
সূত্র: আলজাজিরা