ফুটবলপ্রেমীদের প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী সোক ওয়াকিফ বাজার

ফানাম নিউজ
  ১৬ নভেম্বর ২০২২, ০২:১৬

২০ ডিসেম্বর থেকে কাতারে শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবল বিশকাপ। বিগেস্ট শো অন দ্যা প্ল্যানেট বা বিশ্বের বুকে সবচেয়ে বড় আয়োজন খ্যাত এ আসর উপভোগ করতে বিভিন্ন দেশ থেকে অন্তত ১২ লাখ ফুটবলপ্রেমী কাতারে ভিড় জমাবেন বলে জানা গেছে।

স্বাভাবিকভাবেই, এ আয়োজনের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে কাতার ও উপসাগরীয় অর্থনীতিতে। এরই মধ্যে ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ঢেলে সাজানো হয়েছে কাতারের অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

কাতারের রাজধানী দোহায় দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে নির্মাণ করা হয়েছে সোক ওয়াকিফ বাজার। এরই মধ্যে আগত ফুটবলভক্তদের কাছে একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে এটি। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে বাজারটিতে বসানো হয়েছে অসংখ্য শিল্পকর্ম, এটিএম ও টেলিফোন বুথ।

সওক ওয়াকিফের প্রায় সব দোকানেই বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী ৩২টি দেশের পতাকা টাঙানো হয়েছে। ওইসব দেশের পতাকা, জার্সি, শার্ট, স্কার্ফ, শাল, চাবির রিং, পতাকা সংবলিত সানগ্লাস, ব্রেসলেট ও ক্যাপসহ সবকিছুতেই লেগেছে বিশ্বকাপের ছোঁয়া।

কাতারের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা শখের বশে ফুটবল খেলার সময় তাদের বাড়ির দরজাকে গোলপোস্ট বানিয়ে ফেলে। সে ঐতিহ্য তুলে ধরতে সওক ওয়াকিফের প্রবেশ পথে প্রতীকী দুটি নীল দরজার সামনে বাগানবিলাস ফুলগাছ লাগিয়ে একটি কাঠামো বানোনো হয়েছে।

তাছাড়া, কাতারের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করায় পুরোনো এ বাজারের চারপাশে নির্মাণ করা হয়েছে বাজপাখি ও উটের ভাস্কর্য। বাজ মূলত কাতারের জাতীয় পাখি।

বাজারটির কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা জানান, এরই মধ্যে কেনাবেচায় বিশ্বকাপের হাওয়া লেগেছে। দর্শণার্থীদের আগমনে ব্যবসার গতি বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সবকিছুর মধ্যে জার্সি ও শাল বিক্রির পরিমাণ বেশি। রাতের বেলা কেনাবেচার পরিমাণ বাড়ে।

বাজারের একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করা বিন ওমর নামের এক যুবক বলেন, ১২ বছর আগে যখন কাতারেকে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন থেকে এ বাজারে কাজ করে আসছি। বিশ্বাসই হচ্ছে না, আজ আমরা সে আয়োজনের দোড়গোড়ায় পৌঁছে গিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বকাপের সঙ্গে সম্পর্কিত জিনিসগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। রাতের বেলা ভ্রমণকারীদের কেনাকাটা দেখলে মনে হয়, ঈদ চলে এসেছে। মনে হচ্ছে, আমাদের ব্যবসা করোনাপূর্ব সময়ে ফিরে গেছে। সত্যিই, এ আয়োজন আমাদের ব্যবসার ধরন পাল্টে দিয়েছে।

এর আগে সওক ওয়াকিফ প্রশাসন বলেছিল, ঐতিহ্যবাহী এ বাজারের সব দোকান বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত। এখানে পতাকা, জার্সি থেকে শুরু করে ফুটবলপ্রেমীদের প্রয়োজনীয় সবকিছু পাওয়া যাবে।

সূত্র: দ্য পেনিনসুলা