শিরোনাম
বৈশ্বিক মন্দার ঝুঁকি ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। গত মাসে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি তার চেয়েও বেশি খারাপ। রোববার (১৩ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
ধারাবাহিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কঠোর মুদ্রানীতি, চীনে দুর্বল প্রবৃদ্ধি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ফলে সরবরাহ সংকট এবং খাদ্য অনিরাপত্তা বাড়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
গত মাসে বৈশ্বিক দাতা সংস্থাটি আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জন্য পূর্বাভাস দুই দশমিক নয় শতাংশ থেকে কমিয়ে দুই দশমিক সাত করেছে।
ইন্দোনেশিয়ায় জি-২০ নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত করা এক ব্লগে আইএমএম বলেছে, সাম্প্রতিক উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি সূচকগুলোর কারণে বোঝা যাচ্ছে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে, বিশেষ করে ইউরোপে।
আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক ক্রয় ব্যবস্থাপক সূচকগুলোর হিসাবে জি-২০ ভুক্ত বেশিরভাগ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল। দেশগুলোতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিদ্যমান।
সংস্থাটি জানিয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনীতি যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে তা অনেক বড় ও দুর্বল অর্থনৈতিক সূচকগুলো সামনে আরও চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়।
ইউরোপে জ্বালানি সংকটের কারণে একদিকে যেমন কমতে পারে প্রবৃদ্ধি তেমনি বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতি। এতে ব্যাংকগুলো সুদের হার আরও বাড়তে পারে। ফলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হবে।