শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রে আবারও বন্দুকহামলায় রক্তাক্ত হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত রোববার (১৩ নভেম্বর) শার্লটসভিলে ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার প্রধান ক্যাম্পাসে বন্দুকহামলায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। গুলির ঘটনার পর থেকেই শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবরুদ্ধ রয়েছেন। খবর সিএনএনের।
সন্দেহভাজন হামলাকারীকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তাকে ধরতে সাড়াশি অভিযান চলছে ওই এলাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি জিম রায়ান এবং পুলিশ সোমবার বলেছেন, ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার এক ছাত্রকে গ্রেফতারে হেলিকপ্টার নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সন্দেহভাজন ছাত্রের নাম ক্রিস্টোফার ডার্নেল জোনস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়। জোনস সশস্ত্র এবং বিপজ্জনক বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার সকালে পুলিশ এক টুইটে বলেছে, এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় ও এর চারপাশে পুরোদমে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আপাতত সবাই নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেন।
গুলিতে হতাহতদের পরিচয় অথবা তারা শিক্ষার্থী কি না তা নিশ্চিত করেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা।
রায়ান বলেছেন, আহত দুজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সহিংসতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্যমতে, এ নিয়ে চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬০০টি গণহামলার ঘটনা ঘটলো। হামলাকারী বাদে কমপক্ষে চারজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে গণহামলা হিসেবে ধরা হয়।
গুলির ঘটনার পর ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার সোমবারের সব ক্লাস বাতিল করা হয়েছে।
জানা গেছে, জোনস ২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল দলে নাম লেখালেও কোনো খেলায় অংশগ্রহণ করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি এবং ছাত্র বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা রবিন হ্যাডলি সোমবার ভোরে শিক্ষার্থীদের বলেছেন, পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ার কারণে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকাকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্র সংগঠনের কাছে পাঠানো ইমেইলে তিনি বলেছেন, আমরা সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার মেসেজ পেয়েছি। সেগুলো ভীতিকর ছিল।
এদিকে, রোববার ইউনিভার্সিটি অব আইডাহোর ক্যাম্পাসের বাইরে একটি বাড়িতে চারজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়ার পর হত্যার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নিহতরা সবাই শিক্ষার্থী এবং তাদের মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।