শিরোনাম
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, চীন ধারাবাহিকভাবে এমন সব পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে, যা জাপানের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানছে ও দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনাকে ঘনীভূত করছে।
রোববার (১৩ নভেম্বর) কম্বোডিয়ায় রাজধানী নমপেনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন আসিয়ানের সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতি থেকে জানা যায়, সম্মেলনে উপস্থিত আন্তর্জাতিক নেতাদের সামনে কিশিদা বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করার বিষয়টি তুলে ধরেন। পাশাপাশি চীনের কারণে এ অঞ্চল ও দক্ষিণ চীন সাগরে স্থিতিশীলতা আনা যাচ্ছে না।
এছাড়া জাপানের প্রধানমন্ত্রী চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর যে নির্যাতন চালানো হচ্ছে তাকে মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে আখ্যা দেন।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাইওয়ান প্রণালীতে স্থিতিশীলতা ও দক্ষিণ চীন সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় সব দেশের মুক্ত চলাচল নিশ্চিতে আসিয়ানের নেতাদের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার এ আহ্বানের পরপরই চীনের বিরুদ্ধে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন কিশিদা।
কিশিদা আরও বলেন, গত মাসে উত্তর কোরিয়ার উৎক্ষেপণ করা একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি জাপানের ওপর দিয়ে যায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য পিয়ংইয়ংয়ের এমন আচরণ স্পষ্টতই গুরুতর চ্যালেঞ্জ ও পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।
কিশিদার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে বেইজিং। এমনকি, উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে তৈরি করা জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রতিবেদনকে ভুল বলে দাবি করেছে চীন।
এবারের আসিয়ান সম্মেলনে ২০১৭ সালের পর প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দেন জো বাইডেন। অনেকের মতে, চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক ও প্রযুক্তিগত উত্থান মোকাবিলায় এশিয়া প্যাসিফিক দেশগুলোর সমর্থন পেতেই এ সম্মেলনে যোগ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার বালিতে হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনেও থাকবেন চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানরা। সেখানে প্রথমবারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সশরীরে আলোচনায় বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।