শিরোনাম
মুক্তির দাবিতে গত তিন দশকে একাধিক বার অনশন করেছেন। বছর দু’য়েক আগে একবার ভেলোর সংশোধনাগারে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যা মামলায় অপরাধী নলিনী শ্রীহরণ। অবশেষে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ৩১ বছর পরে এল সেই কাঙ্ক্ষিত মুক্তি। তবে এদিন তার সঙ্গে মুক্তি পেয়েছেন স্বামীসহ আরও তিনজন।
মুক্ত নলিনী শনিবার সকালে শর্ত মেনে ভেলোরের একটি থানায় হাজিরা দেন। এরপর নিয়ম মেনে তাকে জেলে ফেরত যেতে হয়। বিকেলে শীর্ষ আদালতের রায় এসে পৌঁছনোর পরে তাকে ছেড়ে দেন ভেলোর কারাগার কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ভারতের শীর্ষ আদালত রাজীব হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছ’জনকে মুক্তির নির্দেশ দেন। এই তালিকায় নলিনী শ্রীহরণ ও তার স্বামী মুরুগান ছাড়াও রয়েছেন, রবিচন্দ্রন, শান্থন, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমার। চলতি বছরের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট রাজীব খুনের মামলার আর এক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পেরারিভালনকে মুক্তি দিয়েছিলেন।
১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবদুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী নিহত হন। পরে জানা যায়, শ্রীলঙ্কার বিদ্রোহী তামিল গোষ্ঠী এলটিটিই’র ধানু নামে এক নারী আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় সাত জনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন দেশটির আদালত। প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনও যায়। সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে দেরি হওয়ায় ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ডের রায় বদলে যাবজ্জীবন হয়।