হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র-হুঁশিয়ারির মাধ্যমে ইউরোপের ওপর ইরানের চাপ

ফানাম নিউজ
  ১২ নভেম্বর ২০২২, ০২:৪৮

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের দাবি করে ইরান ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্দেশ্যে নতুন নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে। এর আগে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিকেও হুঁশিয়ারি দেয় তেহরান।

ইউক্রেনের ওপর হামলা শুরু করার পর রাশিয়ার মতো অস্ত্র উৎপাদনকারী দেশকেও ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মতো সহযোগী দেশের কাছে সহায়তা চাইতে হয়েছে। বিশেষ করে ইরানে তৈরি আক্রমণাত্মক ড্রোন ইউক্রেনের শহরগুলোতে ধ্বংসলীলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এবার ইরানের এক সামরিক কর্মকর্তা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির দাবি করেছেন। রেভোলিউশনারি গার্ড বাহিনীর এয়ারোস্পেস ইউনিটের কমান্ডার জেনারেল আমিরআলি হাজিজাদেহ বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ প্রণালী ভেদ করে আঘাত হানার ক্ষমতা রাখে। যদিও এখন পর্যন্ত রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র এমন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পেরেছে।

রাশিয়া ও ইরান বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের কড়া নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে আটকে রয়েছে। কোণঠাসা অবস্থায় মস্কো ও তেহরান আরও জোরালো সহযোগিতার পথে এগিয়ে চলেছে।

সম্প্রতি রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিকোলাই পাত্রুশেভ তেহরানে আলোচনার জন্য উপস্থিত ছিলেন। মস্কোর সূত্র অনুযায়ী ‘সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা’র বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং পশ্চিমা জগতের হস্তক্ষেপের বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

গত ৫ নভেম্বর ইরান জানায়, মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠাতে সক্ষম এমন এক রকেটের সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন ইরানের এমন সব প্রচেষ্টা সম্পর্কে গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে আসছে।

শুধু আন্তর্জাতিক আঙিনা নয়, অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভ নিয়েও ইরানের নেতৃত্ব কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। বৃহস্পতিবার জার্মানি জানিয়েছে, দমন নীতির জের ধরে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপানোর তোড়জোড় করছে ইইউ।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেন, যত দিন সময় লাগুক না কেন, আমরা ইরানের নারীপুরুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে জার্মানি তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে মানানসই ও জোরালো জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইরানের সরকার। শুক্রবারই ব্রাসেলসে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক বসছে।

ইরান বুধবার সৌদি আরবসহ অন্যান্য আঞ্চলিক দেশগুলোর উদ্দেশ্যেও স্থিতিশীলতা বিপন্ন করারা বিষয়ে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে। দেশটির গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী এসমাইল খাতিব বলেন, তেহরানের ‘কৌশলগত ধৈর্য্য'-এর সীমা রয়েছে। বৈরি পদক্ষেপ চলতে থাকলে সেই ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যেতে পারে বলে তিনি সতর্ক করে দেন। তিনি ব্রিটেনকেও সতর্ক করে দিয়েছেন।

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার পাশে দাঁড়ালেও ইরান এখনো ২০১৫ সালের আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আপাতত আলোচনা মুলতুবি থাকলেও কোনো এক সময় বোঝাপড়ার মাধ্যমে ইরান নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে আগ্রহী।

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের দাবি করে ইরান ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্দেশ্যে নতুন নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছে। এর আগে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিকেও হুঁশিয়ারি দেয় তেহরান।

ইউক্রেনের ওপর হামলা শুরু করার পর রাশিয়ার মতো অস্ত্র উৎপাদনকারী দেশকেও ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মতো সহযোগী দেশের কাছে সহায়তা চাইতে হয়েছে। বিশেষ করে ইরানে তৈরি আক্রমণাত্মক ড্রোন ইউক্রেনের শহরগুলোতে ধ্বংসলীলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এবার ইরানের এক সামরিক কর্মকর্তা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির দাবি করেছেন। রেভোলিউশনারি গার্ড বাহিনীর এয়ারোস্পেস ইউনিটের কমান্ডার জেনারেল আমিরআলি হাজিজাদেহ বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ প্রণালী ভেদ করে আঘাত হানার ক্ষমতা রাখে। যদিও এখন পর্যন্ত রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র এমন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পেরেছে।

রাশিয়া ও ইরান বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের কড়া নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে আটকে রয়েছে। কোণঠাসা অবস্থায় মস্কো ও তেহরান আরও জোরালো সহযোগিতার পথে এগিয়ে চলেছে।

বুধবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান নিকোলাই পাত্রুশেভ তেহরানে আলোচনার জন্য উপস্থিত ছিলেন। মস্কোর সূত্র অনুযায়ী ‘সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থা’র বিরুদ্ধে সংগ্রাম এবং পশ্চিমা জগতের হস্তক্ষেপের বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

গত ৫ নভেম্বর ইরান জানায়, মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠাতে সক্ষম এমন এক রকেটের সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন ইরানের এমন সব প্রচেষ্টা সম্পর্কে গভীর দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে আসছে।

শুধু আন্তর্জাতিক আঙিনা নয়, অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভ নিয়েও ইরানের নেতৃত্ব কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। বৃহস্পতিবার জার্মানি জানিয়েছে, দমন নীতির জের ধরে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপানোর তোড়জোড় করছে ইইউ।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেন, যত দিন সময় লাগুক না কেন, আমরা ইরানের নারীপুরুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে জার্মানি তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে মানানসই ও জোরালো জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইরানের সরকার। শুক্রবারই ব্রাসেলসে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক বসছে।

ইরান বুধবার সৌদি আরবসহ অন্যান্য আঞ্চলিক দেশগুলোর উদ্দেশ্যেও স্থিতিশীলতা বিপন্ন করারা বিষয়ে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে। দেশটির গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী এসমাইল খাতিব বলেন, তেহরানের ‘কৌশলগত ধৈর্য্য'-এর সীমা রয়েছে। বৈরি পদক্ষেপ চলতে থাকলে সেই ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যেতে পারে বলে তিনি সতর্ক করে দেন। তিনি ব্রিটেনকেও সতর্ক করে দিয়েছেন।

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার পাশে দাঁড়ালেও ইরান এখনো ২০১৫ সালের আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আপাতত আলোচনা মুলতুবি থাকলেও কোনো এক সময় বোঝাপড়ার মাধ্যমে ইরান নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেতে আগ্রহী।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে, প্রেসটিভি