সেতু গুঁড়িয়ে খেরসন থেকে সরে গেলো রুশ সৈন্যরা

ফানাম নিউজ
  ১২ নভেম্বর ২০২২, ০২:৩৮

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন থেকে সৈন্যদের প্রত্যাহার শেষ হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে মস্কো বলেছে, তাদের সব সৈন্যকে দিনিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে রহস্যজনকভাবে রুশ সৈন্য প্রত্যাহারের পরপরই খেরসনের সঙ্গে দিনিপ্রোর পূর্ব তীরের সংযোগকারী একমাত্র সেতুটি ভেঙে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়া সেতুটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে খেরসনই ছিল একমাত্র আঞ্চলিক রাজধানী, যা রাশিয়া দখল করেছিল। গত বুধবার মস্কো ঘোষণা দেয়, শহরটি থেকে রুশ সৈন্যদের পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, কিছুদিন ধরেই ইউক্রেনীয় বাহিনী তিন দিক থেকে খেরসনের দিকে অগ্রাভিযান চালাচ্ছিল এবং শহরটির উত্তর-পূর্বদিকে কিছু এলাকা পুনর্দখলও করে নিয়েছিল।

এর পটভূমিতেই মস্কোর সেনা কমান্ডার জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন বলেন, খেরসনে রসদ সরবরাহ অব্যাহত রাখা আর সম্ভব হচ্ছে না।

এরপর শুক্রবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খেরসন থেকে তাদের সব সৈন্যকে সরিয়ে দিনিপ্রো নদীর পূর্ব তীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখানে কোনো অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জাম পেছনে ফেলে আসা হয়নি।

টুইটারে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রুশ সৈন্যরা আন্তনিভস্কি সেতুর নিচে তৈরি পনটুন ব্যবহার করে দিনিপ্রো নদী পার হচ্ছে। ভিডিওটি সেতু ধ্বংসের আগে ধারণ করা।

যুদ্ধের মধ্যে ক্রমাগত আক্রমণের শিকার হওয়ায় সেতুটিতে অনেক আগেই সাধারণ মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

সবশেষ ছবিতে দেখা গেছে, আন্তনিভস্কি সেতুটি এখন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এটি কীভাবে ঘটলো তা স্পষ্ট নয়। তবে সেনা প্রত্যাহার শেষ হওয়ার পর রুশরাই এটা ধ্বংস করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিবিসি বলছে, এই সেনা প্রত্যাহার রাশিয়া ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য একটি বড় আঘাত এবং ইউক্রেনের জন্য অনেক বড় বিজয়।

তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ বলেছেন, খেরসন থেকে রুশ সৈন্য প্রত্যাহার প্রেসিডেন্ট পুতিনের জন্য অপমানজনক কিছু নয়।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, খেরসনের দিকে অগ্রাভিযানের সময় ইউক্রেনীয় সৈন্যরা বেশ কিছু শহর ও গ্রাম পুনর্দখল করেছে।

খেরসনের অবস্থা এখন কেমন তা পরিষ্কার নয়। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে এখনো কিছু রুশ সৈন্য রয়েছে এবং তাদের ওপর ইউক্রেনীয় বাহিনী আক্রমণ চালাচ্ছে।