শিরোনাম
ওয়াশিংটন-সিউলের যৌথ বিমান মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় আরও কঠোর জবাব দেবে পিয়ংইয়ং। এবার আরও সংঘবদ্ধ ও অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তি দেখাবে কিম জং উন প্রশাসন। সোমবার (৭ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় বার্তা সংস্থায় (কেসিএনএ) দেওয়া এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার পিপল’স আর্মির জেনারেল স্টাফ এসব তথ্য জানান।
এদিন একটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিকসহ অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ছবি প্রকাশ করে উত্তর কোরিয়া।
গত সপ্তাহে বাইডেন ও ইওল প্রশাসনের যৌথ সামরিক বিমান মহড়া চলাকালে দক্ষিণ কোরিয়া লাগোয়া সমুদ্রসীমায় একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ একশরও বেশি কামানের গোলা নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। তাছাড়া দুই কোরিয়ার মাঝামাঝি সামরিক সীমান্ত (মিলিটারি ডিমারকেশন লাইন) এলাকায় যুদ্ধবিমানও ওড়ায় তারা।
যৌথ মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক যুদ্ধবিমান একসঙ্গে আকাশে ওড়ে। এমনকি ২০১৭ সালের পরে এ মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশে বি-১বি বোমারু বিমান উড়তে দেখা যায়।
প্রথমে পাঁচদিনের কথা থাকলেও পরে মহড়ার মেয়াদ ছয়দিন করা হয়। উত্তর কোরিয়া এ মহড়াকে উত্তেজনা উসকে দেওয়ার একটি আগ্রাসী পদক্ষেপ বলে আখ্যা দেয়।
এদিকে, ওয়াশিংটন-সিউল পিয়ংইয়ংয়ের এমন আচরণ খুব গুরতরভাবে দেখলেও, উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর দাবি, যুদ্ধ উন্মত্ততা (যুদ্ধের প্রতি প্রবল আগ্রহ) ধরে রাখতে তারা দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান ঘাঁটি ও প্রধান শহরগুলোতে হামলা চালানোর ভান করে। তবে কিম জং উনের তদারকিতে এমন কর্মকাণ্ড করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়নি তারা।
কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (২ নভেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় শহর উলসানের জলসীমায় দুটি পারমাণবিক শক্তিসম্পন্ন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। যদিও সিউলের দাবি, এ তথ্য পুরো মিথ্যা। উলসান কিংবা আশেপাশের এলাকায় কোনো ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত হয়নি।
উত্তর কোরিয়া সেদিন প্রায় ২৩টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল, যার মধ্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর সীমারেখার ২৬ কিলোমিটার দক্ষিণে গিয়ে পড়ে। ওই জায়গাটি দুই কোরিয়ার মধ্যে একটি অনানুষ্ঠানিক সামুদ্রিক সীমানা হিসাবে কাজ করে। ১৯৫৩ সালে কোরিয়ান যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটে।
সূত্র: আল জাজিরা