শিরোনাম
প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এ বছর নতুন আইফোন ১৪ মডেলের হ্যান্ডসেট অন্তত ৩০ লাখ পিস কম উৎপাদন করবে অ্যাপল। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত কয়েকটি সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে এ তথ্য জানিয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে ওই মডেলের নয় কোটি হ্যান্ডসেট উৎপাদনের লক্ষ্য থাকলেও এখন ৮ কোটি ৭০ লাখ পিস বাজারজাত করবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
এটি ঘটছে মূলত আইফোন ১৪ ও ১৪ প্লাস মডেলের দুর্বল চাহিদা এবং সস্তা বিকল্পগুলোর কারণে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আইফোন সিটি নামে পরিচিত চীনের ঝেংঝৌ শহরে সপ্তাহব্যাপী করোনাজনিত লকডাউনের বাধা।
এগুলোর প্রভাবে সোমবার (৭ নভেম্বর) নিউইয়র্কে প্রি-মার্কেট লেনদেনে অ্যাপলের শেয়ারের দর কমে গেছে দুই শতাংশের বেশি।
বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন বাজারে জেফারিজের বিশ্লেষণ বলছে, উদ্বোধনের পর থেকেই আইফোন ১৪ ও ১৪ প্লাসের বিক্রি কমছে; বিশেষ করে, চীনে কমার হার দ্রুত বাড়ছে।
ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, চাহিদা প্রত্যাশামতো না বাড়ায় অ্যাপল এ বছর তার নতুন আইফোনের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা আগেই বাতিল করেছিল।
তবে রোববার মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, আইফোন ১৪ প্রো এবং প্রো ম্যাক্স ফোনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তা সত্ত্বেও ঝেংঝৌতে লকডাউনের কারণে এসব হ্যান্ডসেটের উৎপাদন কিছুটা কমানো হবে। তবে ঠিক কী পরিমাণ উৎপাদন কমবে তা স্পষ্ট করে বলেনি অ্যাপল।
গত শুক্রবার রোসুকে কাতসুরার নেতৃত্বে এসএমবিসি নিকোর বিশ্লেষকরা ২০২২ সালে অ্যাপলের নতুন আইফোন উৎপাদনের পূর্বাভাস ৯ কোটি ১০ লাখ ইউনিট থেকে সাড়ে আট কোটিতে নামিয়ে এনেছেন। তাদের সংশোধিত পূর্বাভাসে আইফোনের প্রো মডেলগুলোর প্রত্যাশিত উৎপাদন বাড়ার কথা বলা হলেও স্ট্যান্ডার্ড সংস্করণগুলোর সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ঝেংঝৌ সংক্রান্ত বিবৃতির বাইরে নতুন করে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি অ্যাপল।
আইফোনের প্রো সংস্করণগুলো সংযুক্তিতে অ্যাপলের প্রধান উৎপাদন কেন্দ্রটি চীনের ঝেংঝৌতে অবস্থিত। এটি পরিচালনা করে তাইওয়ানের ফক্সকন টেকনোলজি গ্রুপ।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত শহরটিতে লকডাউন জারি করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এর ফলে আইফোন উৎপাদন ও সরবরাহে বিঘ্ন ঘটবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা।