শিরোনাম
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সেন্ট্রাল গাজার হামাস পরিচালিত শরণার্থী শিবির এলাকা লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। এতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো গাজা উপত্যকায় অবস্থিত হামাসের শরণার্থী শিবিরে আক্রমণ করে। সম্প্রতি গাজা থেকে ইসরায়েলে করা রকেট হামলার প্রতিক্রিয়ায় এ পাল্টা হামলা করা হয়েছে।
এর আগে, গাজা এলাকা থেকে ইসরায়েলের তিনটি শহর কিসুফিম, এন হাশলোশা ও নিরীম শহর লক্ষ্য করে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। যার মধ্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে থামিয়ে দেওয়া হয়। বাকি তিনটি লক্ষ্যে আঘাত হানার আগে গাজা এলাকাতেই বিস্ফোরিত হয়।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেন, গাজাতে এমন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলি আগ্রাসনের চরম উদাহরণ। তাদের এমন আচরণে প্রমাণ হয়, তারা নিরীহ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে উন্মুক্ত যুদ্ধ করতে চায়। কিন্তু তারা জানে না যে, তাদের এমন কর্মকাণ্ড আমাদের সংঘবদ্ধ হতে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করছে।
ইসরায়েলি এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনার আগে পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে সেনা অভিযান চালায় ইসরায়েল। সে সময় ইসলামিক জিহাদের সদস্য ফারুক সলামেহসহ আরও তিন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়াতেই বৃহস্পতিবার গাজা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল।
আগস্টে ইসরায়েল ও সশস্ত্র ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর প্রথম আন্তঃসীমান্ত সহিংসতা হিসেবে এ রকেট হামলা ও ইসরায়েলি বিমান হামলা চালানো হলো। বিষয়টি নাবলুস ও জেনিনে ইসরায়েলি সেনা অভিযানের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ সপ্তাহের শুরুতে অনুষ্ঠিত ইসরায়েলের সংসদীয় নির্বাচনে বিজয়ী হন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি জয়ী হলে সহিংসতা আরও বেশি ছড়িয়ে পড়বে বলে মনে করেছিলেন অনেকে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের শুরু থেকে আইন বহির্ভূতভাবে দখলকৃত পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ১৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজা শাসনকারী ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী হামাস গত ১৫ বছরে চারটি যুদ্ধ করেছে। ১৪ বছর ধরে ইসরায়েল ও মিশর গাজার ওপর কঠোর অবরোধ বজায় রেখেছে।
সূত্র: আল জাজিরা