শিরোনাম
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া জোরদার করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। সম্প্রতি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপের সময় এই আগ্রহ দেখিয়েছেন তিনি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হঠাৎই তুরস্কের গুরুত্ব বেড়ে গেছে। ন্যাটোর সদস্য হওয়া সত্ত্বেও পশ্চিমা বিশ্বের মতো রাশিয়ার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি আঙ্কারা। বরং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সংলাপ ও সহযোগিতা বাড়ানোর কথা বলেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ফলে রাশিয়ার সরকার ও সাধারণ মানুষ তুরস্কের ওপর আরও নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
তাছাড়া, এরদোয়ান ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার পথে বাধা এখনো পুরোপুরি দূর করেননি। ন্যাটোর সদস্য ও প্রতিবেশী দেশ গ্রিসের প্রতি বৈরি মনোভাব দেখিয়েও তিনি নিজের প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছেন।
তুরস্কের এমন ভূমিকা ন্যাটো তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য বেশ অস্বস্তির কারণ। এমন প্রেক্ষাপটেই তুরস্ক ইইউর সদস্য হওয়ার বিষয়টি নতুন করে উত্থাপন করলেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনার সময় তিনি ‘নিবিড় সংলাপ’র মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়া প্রক্রিয়া চাঙ্গা করার আশাপ্রকাশ করেন। আপাতত ইইউ’র সঙ্গে সংলাপের প্রক্রিয়া ফের চালু করে শুল্ক ইউনিয়ন কাঠামো আরও জোরদার করতে চান এরদোয়ান। সেই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্ণ সদস্য হিসেবে যোগদান সংক্রান্ত আলোচনাও নতুন করে শুরু করতে চান তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ’তে যোগদানের প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পায় তুরস্ক। তবে সেই আলোচনা বহুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে সংলাপ শুরু হলেও ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর মানবাধিকার পরিস্থিতি ও আইনের শাসনের অবনতির সমালোচনা করে আসছে ইইউ।
গত মাসেই ব্রাসেলস ইইউ’র সদস্য হওয়ার পথে তুরস্কের অগ্রগতির অভাবের কথা উল্লেখ করেছে। দেশটির গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা সম্পর্কে গভীর মতবিরোধ রয়েছে বলে জানিয়েছে ইইউ।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে