শিরোনাম
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে পিটিআই চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের লং মার্চ কর্মসূচি চলছেই। পঞ্চম দিনের মতো মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) গুজরানওয়ালা অভিমুখে লং মার্চ শুরু করার কথা জানান তিনি। এর আগে খান চাঁ দা কিলায় চতুর্থ দিনের মতো লং মার্চ সমাপ্তি ঘোষণা করেন ইমরান খান।
লং মার্চের চতুর্থ দিনে এক বক্তব্যে ইমরান খান বলেন, আমি কারও মানসিক দাস নই। আগাম নির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদ পর্যন্ত তার সমর্থকদের নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল বের করার ঘোষণা দেন ইমরান খান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ইমরান খান বলেন, ‘যখন আমরা একটি শহরের মধ্য দিয়ে যাবো, পাকিস্তানিরা দেখতে পাবেন যে দেশে বিপ্লব আসছে। সমগ্র জাতি সাক্ষী যে পাকিস্তানে একটি শান্তিপূর্ণ বিপ্লব আসছে’।
তিনি আরও বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জনগণের সমর্থন প্রয়োজন। ইমরান খান বলেন, ‘জনগণের পছন্দের সরকার পেলেই আমরা সত্যিকারের স্বাধীনতা পাবো’। চোরদের জাতি কখনও গ্রহণ করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সম্প্রতি তোশাখানা মামলায় পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) রায়ের বিরুদ্ধে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আপিল খারিজ করে দেন স্থানীয় হাইকোর্ট। তবে নির্বাচনে অংশ নিতে তার জন্য কোনো বাধা নেই বলে জানান আদালতের বিচারপতি। গত শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় কোষাগারে উপহার জমাদান সংক্রান্ত মামলায় ইমরান খানের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে রায় দেয় নির্বাচন কমিশন। সেসময় খবর ছড়ায়, আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকেও নিষিদ্ধ থাকবেন পিটিআই চেয়ারম্যান।
এরই প্রতিবাদে সম্প্রতি ইমরান খানের সমর্থকরা ছোট পরিসরে মিছিল বের করেন। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খান বলেন, লাহোরের লিবার্টি স্কয়ার থেকে ইসলামাবাদ পর্যন্ত লং মার্চে তার সমর্থকদের সঙ্গে অংশ নেবেন তিনি। এই দুই শহরের মধ্যে দূরত্ব ৩৮০ কিলোমিটার (২৩৬ মাইল)।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি অবিলম্বে নির্বাচন ঘোষণা করার জন্য সরকারকে বার্তা দিতে চাই এই লং মার্চের মধ্যদিয়ে। দলের সদস্য ও সমর্থকদের সহিংসতা এড়িয়ে চলারও আহ্বানও জানান তিনি। দেশের ইতিহাসে এটাই হবে সবচেয়ে বড় লংমার্চ বলেও উল্লেখ করেন ইমরান খান।
গত এপ্রিল মাসে আইনসভায় অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। এরপর দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে সারাদেশে বিক্ষোভ করেন তার দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। কিন্তু সরকার বলছে যে আগামী বছরের অক্টোবর বা নভেম্বরে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র: জিও নিউজ