শিরোনাম
ভারতের গুজরাটে একটি ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কোম্পানির নয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ১৪০ বছরের পুরোনো সেতুটি ধসে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪১ জন। আরও শতাধিক মানুষ এখনো নিখোঁজ। তাদের জীবিত উদ্ধারের আশা দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, মরবি শহরে মাচ্ছু নদীর ওপর অবস্থিত প্রাচীন সেতুটি বিপুল খরচে সংস্কারের পর মাত্র পাঁচদিন আগে খুলে দেওয়া হয়েছিল। রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিতে হঠাৎ ভেঙে পড়ে সেটি।
রাজকোট রেঞ্জের মহাপরিদর্শক অশোক যাদবের উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, এ ঘটনায় সংস্কার ও রক্ষাণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কোম্পানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অশোক বলেছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়েরের পর আমরা নয়জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের মধ্যে ওরেভা গ্রুপের ব্যবস্থাপক এবং টিকিট ক্লার্কও রয়েছেন।
জানা যায়, কিছুদিন আগেই সেতুটি সংস্কারে দুই কোটি রুপি খরচ করেছে বলে দাবি করেছিল ওরেভা গ্রুপ। কিন্তু সেতু রক্ষণাবেক্ষণে তাদের দায়িত্ব দেওয়া নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে।
একসময় নিজেদের ‘বিশ্বের বৃহত্তম ঘড়ি প্রস্তুতকারক’ বলে দাবি করতো কোম্পানিটি। পরে তারা আলোকসজ্জা পণ্য, ব্যাটারিচালিত বাইক, গৃহস্থালীয় পণ্য ও টিভি উৎপাদন শুরু করে।
এমন একটি কোম্পানিকে কেন ঐতিহাসিক সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
অশোক যাদব জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত চলছে।