শিরোনাম
ব্রিটিশ নৌবাহিনীই এ বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর বাল্টিক ও কৃষ্ণসাগরের তলদেশ দিয়ে যাওয়া নর্ড স্ট্রিম গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এদিকে লন্ডন বলছে, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ব্যর্থতা ঢাকতে পরিকল্পিতভাবে এমন মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে মস্কো।
স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক যখন সবচেয়ে বাজে যাচ্ছে, ঠিক সেসময় ন্যাটোর শীর্ষ একটি সদস্য দেশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে মস্কো। তবে যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল রুশ স্থাপনায় ক্ষতিসাধনের অভিযোগ তুললেও এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ তুলে ধরেনি মস্কো।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, শনিবার ব্রিটিশ নৌবাহিনীর একই সদস্যরা ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন করা রুশ নৌবহরে হামলার জন্য ড্রোন ছোড়ে। এতে একটি মাইন শনাক্ত ও নিষ্ক্রিয়কারী জাহাজে সামান্য ক্ষতি হলেও রুশ নৌবাহিনী সফলতার সঙ্গে ড্রোন হামলা প্রতিহত করে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্রিটিশ নৌবাহিনীর এ ইউনিটটিই নর্ডস্ট্রিম-১ ও ২ গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা, ব্যবস্থা ও বাস্তবায়ন করেছে। এর আগেও এ ঘটনায় রাশিয়া যুক্তরাজ্যের নাম সরাসরি না বললেও পশ্চিমাদেরই দায়ী করেছিল।
এদিকে, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে বলে, ইউক্রেনে নিজেদের আইনবহির্ভূত হামলা ও দখলদারত্ব ঢাকতে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোকে অবলম্বন হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকেই রাশিয়াকে কোনঠাসা করতে বিভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো।
ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের সব থেকে বড় পাইপলাইল হলো নর্ড স্ট্রিম। ২৬ সেপ্টেম্বর নর্ডস্ট্রিমে ভারি চাপ লক্ষ করেন রুশ গবেষক ও ভূতাত্ত্বিকরা। এর পরপরই গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণ ও সমুদ্রপৃষ্ঠে বিশাল ঢেউ দেখা যায়। তখন দেশটির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি সঞ্চালক অবকাঠামোতে ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষতি করা হয়েছে বলে দাবি করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সূত্র: রয়টার্স