শিরোনাম
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান পরস্পরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এ সময় রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে তেহরানকে আহ্বান জানিয়েছেন কুলেবা।
সম্প্রতি কুলেবা একটি টুইট বার্তায় এসব কথা বলেন। খবর আলজাজিরার।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এবং তাদের পশ্চিমা মিত্ররা ইরানের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে তথাকথিত ‘কামিকাজে’ ড্রোন সরবরাহ করার জন্য অভিযুক্ত করেছে, যা সম্প্রতি ইউক্রেনীয় অবকাঠামোর লক্ষ্যে ব্যবহার করছে মস্কোর বাহিনী। যদিও ইরান কঠোরভাবে অস্বীকার করে বলেছে যে, তারা রাশিয়ায় ড্রোনসহ কোনো অস্ত্র পাঠায়নি।
কুলেবা একটি টুইটে লিখেছেন, আজ, আমি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের কাছ থেকে একটি কল পেয়েছি। আমি ইরানকে অবিলম্বে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করতে এবং ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করতে রাশিয়ার কাছে অস্ত্র প্রবাহ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছি।
রাশিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের শক্তি অবকাঠামো লক্ষ্য করে ব্যপকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হামলার ফলে কিয়েভের পাশাপাশি সারা দেশের শহর ও শহরগুলিতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য করেছে। কিয়েভ বলেছে যে, রাশিয়া ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬ অ্যাটাক ড্রোন ব্যবহার করেছে।
এদিকে ইরানি রাষ্ট্রীয় ইরনা (ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি) জানিয়েছে, তেহরান রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য ড্রোন বিক্রি করেছে এমন দাবি নিয়ে তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত।
ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, আইআরএনএ জানিয়েছে।
ইরনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে আইআরএনএ বলেছে, ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আমিরাবদুল্লাহিয়ান। তিনি দাবি করেছেন, অতীতে ইরান রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র নিয়েছি এবং অস্ত্রও দিয়েছি, কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের সময় নয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেলকে বলেছেন- ইরান ইউক্রেনে ব্যবহৃত ড্রোনগুলোর তদন্তে অংশ নিতে ইচ্ছুক।