যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় ইরানের আরও কয়েকজন

ফানাম নিউজ
  ২৮ অক্টোবর ২০২২, ০০:২৮

১২ জনের বেশি ইরানি কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পুলিশি হেফাজতে ইরানি তরুণি মাসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে করা বিক্ষোভ সহিংসভাবে দমন করায় ওই কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছ। খবর এএফপির

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কপর্সের গোয়েন্দাপ্রধান মোহাম্মদ কাজেমি, সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের গভর্নর হোসেন মোদারেস খিয়াবানি।

এ ছাড়া কালোতালিকায় রয়েছেন, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) দুজন কর্মকর্তা। তাদের একজন ইসফাহান শহরের পুলিশপ্রধান। এ ছাড়া জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের সাতজন কারা কর্মকর্তা রয়েছেন ওই তালিকায়।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ বলেছে, গত জুনে আইআরজিসির গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হওয়ার পর থেকেই কাজেমি ইরানের সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ সহিংসভাবে দমন করেছেন। আইআরজিসি ও এর বাসিজ সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী জাহেদান এলাকায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৮০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় সিস্তান ও বেলুচিস্তানের গভর্নর খিয়াবানিকে দায়ী করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরানের দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হ্যাকারদের প্রশিক্ষণ, নিয়োগ ও ইরান সরকারের ওপর ইন্টারনেটের সেন্সরশিপ পরিচালনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে ২২ বছরের মাসা আমিনির মৃত্যুর ৪০ দিন পার হয়েছে। আমরা আমিনির পরিবার ও ইরানের জনগণের জন্য শোক এবং তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা জানাচ্ছি।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের জনগণের পাশে থাকতে ও বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন–পীড়নের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এদিকে পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে ইরানজুড়ে যে বিক্ষোভ চলছে, তার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

তিনি বলেন, এ দাঙ্গা ইরানের চিরশত্রু ও তাদের মিত্রদের সৃষ্ট। বিক্ষোভে পবিত্র কোরআন পোড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তার নিরাপত্তা বাহিনীকে ভবিষ্যৎ বিক্ষোভ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন। খামেনির এক দশকের শাসনামলে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।