শিরোনাম
সরকারপ্রধান হিসেবে শুরুটা কি শুভ হলো ঋষি সুনাকের? তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আধা ঘণ্টা যেতে না যেতেই পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রিসভার দুই সদস্য।
বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভাষণ দেওয়ার পরপরই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসামন্ত্রী জ্যাকব রিস-মগ এবং বিচারমন্ত্রী ব্র্যান্ডন লুইস।
রিস-মগ সম্প্রতি বলেছিলেন, তিনি ঋষির মন্ত্রিসভায় থাকবেন বলে আশা করছেন না। তবে প্রধানমন্ত্রী তাকে যে দায়িত্বই দেবেন, তা পালন করতে প্রস্তুত।
তবে আগের অবস্থান থেকে সরে আসার বিষয়ে মঙ্গলবার পদত্যাগকারী এ মন্ত্রী বলেছেন, তিনি আর বিশ্বাস করেন না যে, ঋষি সুনাক ‘সমাজতন্ত্রবাদী’। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফকে তিনি বলেন, কনজারভেটিভ পার্টির নেতা স্পষ্টতই সমাজতান্ত্রিক নন।
এসময় ভবিষ্যতে নির্বাচনে হেরে যাওয়া এড়াতে প্রধানমন্ত্রীর পেছনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন রিস।
আর বিচারমন্ত্রী ব্র্যান্ডন লুইস এক টুইটে জানিয়েছেন, তার পদত্যাগপত্র নতুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। লুইস বলেছেন, যুক্তরাজ্যের দীর্ঘস্থায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের একজন হতে পারা তার কাছে অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। তিনি চারজন প্রধানমন্ত্রীর অধীনে, পাঁচটি মন্ত্রণালয়ে আটটি মন্ত্রীর ভূমিকা পালন করেছেন।
লুইস বলেছেন, দল ও দেশের জন্য ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার সমর্থন থাকবে।
সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে চিফ হুইপ পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ওয়েন্ডি মর্টন। এক টুইটে তিনি বলেছেন, পেছনের বেঞ্চগুলোতে যাচ্ছি। সেখান থেকে আমি ব্যবসা ও অ্যালড্রিজ-ব্রাউনহিলসের সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব অব্যাহত রাখবো।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নতুন সরকারপ্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন কনজারভেটিভ নেতা ঋষি সুনাক। তার আগে, বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস রাজার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। রাজার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পৌঁছে জাতির উদ্দেশ্যে প্রথমবার ভাষণ দেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান হিসেবে নিজের প্রথম ভাষণে পূর্বসূরী লিজ ট্রাসের প্রতি সম্মান জানিয়ে ঋষি বলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির উন্নতি করতে চাওয়া ভুল নয়। এটি একটি মহৎ উদ্দেশ্য। কিন্তু কিছু ভুল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এগুলো অসৎ ইচ্ছা বা খারাপ উদ্দেশ্য থেকে জন্মগ্রহণ করেননি, বরং তার পুরোপুরি বিপরীত। তবুও সেগুলো ভুলই।
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি তার পূর্বসূরীর করা ‘ভুলগুলো সংশোধন করতে’ বদ্ধপরিকর। আর এই কাজ শুরু হবে তাৎক্ষণিকভাবে।