শিরোনাম
মালয়েশিয়ার ১৫তম সাধারণ নির্বাচনের (জিই ১৫) ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়নের দিন হবে ৫ নভেম্বর, আগাম ভোটগ্রহণ হবে ১৫ নভেম্বর এবং ভোট হবে ১৯ নভেম্বর। নির্বাচন কমিশনারের আশা, নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অবসান ঘটবে এবং জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার বেছে নেবে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুরে দেশটির নির্বাচন কমিশনের বিশেষ সভায় নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান তান শ্রী আবদুল গনি সাললেহ এ তারিখ ঘোষণা করেন।
মালয়েশিয়ায় দুই কোটি ১০ লাখ ভোটার। ২২২জন আইন প্রণেতা নির্বাচনের জন্য আগামী মাসে ভোট দেবেন। আর সরকার গঠনের জন্য নির্দিষ্ট দল বা জোটকে ১১২টি আসন জিততে হবে।
এদিকে মূল্যবোধ বজায় রেখে প্রচারাভিযানের সময় নেতিবাচক আচরণ এড়িয়ে চলতে রাজনীতিবিদদের আহ্বান জানিয়ে রাজা ইয়াং ডি-পার্টুয়ান আগাং বলেন, রাজনীতিবিদদের অবশ্যই অন্যদের উস্কানি দেওয়া বা মানহানি করা এড়াতে হবে। এ বৈশিষ্ট্যগুলো শুধুমাত্র বিপথগামী নয় বরং বিশৃঙ্খলাও সৃষ্টি করতে পারে।
আহমদ ফাদিল এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাজার মতামতে দেশের বিচারিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সংসদীয় গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের ব্যবস্থাকে সম্মান ও সমুন্নত রাখার পাশাপাশি দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক সহযোগিতাকে আরও সুসংগত করে তোলার জন্য সব দলের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, এর আগে বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাজা বুকিত আমানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও পাবলিক অর্ডার বিভাগের পরিচালক কম দাতুক সেরি হাজানি গাজালির সঙ্গে ইজি১৫ এর প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
অধিবেশনের জন্য পুলিশ প্রস্তুতি, সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং বন্যার সম্ভাবনা মোকাবিলায় ৯৯ হাজার ১৩৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা প্রস্তুত রয়েছে।
রাজা প্রার্থী ও দলীয় সমর্থকদের প্রতি ৫ নভেম্বর মনোনয়নের দিন থেকে শুরু করে প্রচারণার পুরো সময় জুড়ে বিচক্ষণ পন্থা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব চতুর্দশ সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন, যা ইয়াং দি-পার্টুয়ান আগোং আল-সুলতান আব্দুল্লাহ রিয়াতউদ্দিন আল-মুস্তাফা বিল্লাহ শাহের সম্মতি পাওয়ার পরপরই কার্যকর হয়।
মালয়েশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে দেশটির পেরাক, পাহাং এবং পার্লিসে ১৫তম সাধারণ নির্বাচন একযোগে রাজ্য নির্বাচন করার জন্য তাদের রাজ্য বিধানসভাগুলো ভেঙে দেয়।
অন্যদিকে, দেশটির মেলাকা, জোহর, সাবাহ এবং সারাওয়াকসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য বিধানসভা এখনো ভেঙে দেওয়া হয়নি কারণ সম্প্রতি রাজ্যগুলোর নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরার আশা নির্বাচন কমিশনারের।