শিরোনাম
চীন তার রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য জার্মানির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় বিনিয়োগ থেকে বিশেষ সুবিধা নিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন জার্মান গোয়েন্দা প্রধানরা। চীনা শিপিং কোম্পানি কসকোকে হামবুর্গ বন্দরে বিনিয়োগ করতে দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে বার্লিনে চলমান বিতর্কের মধ্যেই এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন তারা। খবর রয়টার্সের।
জার্মানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দরের একটি টার্মিনালে অংশীদারত্ব কেনার জন্য কসকোর প্রচেষ্টায় ভেটো দিতে চায় জার্মান অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে এক্ষেত্রে চীনা বিনিয়োগের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জার্মান চ্যান্সেলারি।
দীর্ঘদিন থেকেই জার্মানির শীর্ষ ব্যবসায়িক অংশীদার চীন। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর কোনো কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল থাকা কতটা বিপজ্জনক, তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠলে চীনের ওপর নির্ভরতা কীভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে জার্মানিতে বিতর্ক শুরু হয়।
অবশ্য ‘জাতীয় নিরাপত্তার নামে’ অর্থনৈতিক সম্পর্ককে রাজনীতিকরণ বা সুরক্ষাবাদে না জড়ানোর জন্য জার্মানির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চীন।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) এক সংসদীয় শুনানিতে জার্মান গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা বলেছেন, তারা কসকোর বিষয়টি মূল্যায়ন করতে পারেননি। তবে সাধারণভাবে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন।
জার্মানির বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার (বিএনডি) প্রধান ব্রুনো কাহল বলেন, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে চীনের অংশগ্রহণের বিষয়ে আমরা খুবই সন্দিহান। তার মতে, বন্দরকে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। তাই সেখানে যেকোনো সম্ভাব্য বিনিয়োগ খুব সাবধানতার সঙ্গে পর্যালোচনা করতে হবে।
ব্রুনো বলেন, জার্মানি তার পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নে চীনের ৫জি অবকাঠামোর মতো প্রযুক্তি বা অর্থনৈতিক শক্তির ব্যবহার আশা করতে পারে। তবে চীন ও জার্মানির মধ্যে রাজনৈতিক মতবিরোধের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো ব্যবহার করা হবে।
জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান থমাস হালডেনওয়াং বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় অংশীদারত্ব নাশকতা এবং জনমতের ওপর প্রভাব বিস্তারের দরজাও খুলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, আমি যখন বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে চীন সম্পর্কে কথা বলি, তারা সবসময় বলে: রাশিয়া হলো ঝড়, আর চীন হলো জলবায়ু পরিবর্তন। সুতরাং আগামী বছরগুলোতে এই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।