শিরোনাম
ইন্দোনেশিয়ায় জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী মাসে। এতে অংশ নিয়ে বৈঠক করবেন বিশ্ব নেতারা। তবে সেখানে সৌদি প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দেখা করার কোনো পরিকল্পনা নেই। সম্প্রতি ওপেকের তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণায় হোয়াইট হাউজ ও সৌদি রাজ পরিবারের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। মার্কিন এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল-জাজিরার।
এদিকে হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, তেল উৎপাদন কমানোর বিষয়ে ও মার্কিন নিরাপত্তা সহায়তা পরিবর্তনের ইস্যুতে সৌদি আরবকে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে সে ব্যাপারে পদ্ধতিগতভাবে কাজ করবেন বাইডেন।
তবে মার্কিন-সৌদি সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন আসন্ন নয়। কারণ বাইডেন এটিকে পুনরায় মূল্যায়ন করছেন বলেও জানিয়েছেন সুলিভান।
এর আগে সিনেটের ফরেন রিলেশনস অ্যান্ড এপ্রোপ্রিয়েশন কমিটির সদস্য সেন ক্রিস কুনস বলেছেন, বাইডেন প্রশাসনের পাশাপাশি সিনেটও সৌদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দেশটির কাছে নতুন করে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করা।
তেল উৎপাদন কমানোয় সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ উপেক্ষা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় রিয়াদকে এর ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জো বাইডেন বলেন, সৌদি আরব যেভাবে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার জন্য অবশ্যই ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। তবে রিয়াদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে সে বিষয়ে কিছু বলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সম্প্রতি এক বৈঠকে জ্বালানি তেলের উৎপাদন দৈনিক রেকর্ড দুই লাখ ব্যারেল কমানোর ঘোষণা দিয়েছে রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক ও এর মিত্ররা (একসঙ্গে বলা হয় ওপেক প্লাস)। তাদের এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমা বিশ্বে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক ক্ষোভের পাশাপাশি উদ্বেগ তৈরি করেছে।