শিরোনাম
ইউক্রেনকে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবেন না, সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন টেসলার নির্বাহী প্রধান ইলন মাস্ক। এ ঘোষণার একদিন পরই তিনি আবার তার প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইউক্রেনে ইন্টারনেট সেবা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় ইলন মাস্ক বলেছেন, ‘যদিও স্টারলিংক এখনো অর্থ হারাচ্ছে এবং অন্যান্য কোম্পানি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পাচ্ছে। এরপরও ইউক্রেন সরকারকে বিনা মূল্যে ইন্টারনেটে অর্থায়ন করতে থাকবো।’
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ইলন মাস্ক এক টুইট বার্তায় বলেন, স্পেসএক্স অতীতের খরচ দিতে বলছে না। তবে বিদ্যমান ব্যবস্থাটিতে (স্টারলিংক) অনির্দিষ্টকালের জন্য অর্থায়ন করতে পারবে না।
যদিও ইলন মাস্কের মত পাল্টে যাওয়ার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
স্টারলিংক ইউক্রেনের যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ দেশটি রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেনের ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার পরে ইলন মাস্ক ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে স্টারলিংক সক্রিয় করেছিলেন দেশটিতে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে অনলাইনে রাখার জন্য এর ইন্টারনেট টার্মিনালগুলো তখন থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। স্পেসএক্স ইউক্রেনে প্রায় ২৫ হাজার গ্রাউন্ড টার্মিনাল দিয়েছে।
ইউক্রেনের উপ প্রধানমন্ত্রী মিখাইলো ফেদোরভ চলতি সপ্তাহে বলেন যে স্টারলিংক পরিষেবাগুলো ১০০-র বেশি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যোগাযোগের অবকাঠামো পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করেছে।
এর আগে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ইস্যুতে বিতর্কে জড়ান বিশ্বের এই শীর্ষ ধনী। ‘শান্তি পরিকল্পনা’ নিয়ে টুইট করার আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন টেসলার সিইও ইলন মাস্ক। দ্যা ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছিল। এই প্রতিবেদনে ইয়ান ব্রেমার নামে এক ব্যক্তিকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে এমন তথ্য অস্বীকার করেন ইলন মাস্ক। ইলন মাস্ক এক টুইটার বার্তায় জানান, তিনি পুতিনের সঙ্গে ১৮ মাস আগে কথা বলেছিলেন। আর তখন কথা বলার বিষয়টি ছিল মহাকাশ স্পেস নিয়ে।
গত সপ্তাহে, টেসলার সিইও তার ১০৭ দশমিক ৭ মিলিয়ন ফলোয়ারকে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানের উপায়ে ভোট দিতে বলেন। পরামর্শগুলোর মধ্যে রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের কিছু অংশে ভোট রাখার একটি প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা ক্রেমলিন দাবি করে যে তারা এটি সংযুক্ত করেছে। তার মন্তব্যকে স্বাগতও জানায় মস্কো।
সূত্র: আল-জাজিরা