শিরোনাম
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক ফিলিস্তিনি তরুণ নিহত হয়েছে। তিনি ইসরায়েলি সেনাদের গুলি আহত হয়েছিলেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আল জাজিরার।
রোববার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আরও তিন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। বেশ কিছু মেডিকেল সূত্রের বরাত দিয়ে ফিলিস্তিনের ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, নিহত ওই ফিলিস্তিনি তরুণের নাম মুজাহেদ আহমেদ দাউদ, বয়স ৩১ বছর। তিনি কারায়েত বানি হাসান শহরের বাসিন্দা ছিলেন।
আহত অবস্থায় দাউদকে রামাল্লাহর ইসতিশারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, ফিলিস্তিনিরা শনিবার কারাওয়েত বানি হাসানের কাছে সহিংস দাঙ্গা শুরু করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানকার দায়িত্বরত সৈন্যরা গুলি চালায়।
গত মার্চ থেকেই পশ্চিমতীরে একের পর অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত কয়েক মাসে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে জেনিন, নাবলুস এবং পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও বহু মানুষকে আটকও করা হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ১৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি যোদ্ধার গুলিতে এক ইসরায়েলি সেনা সদস্য নিহত হয়। সে সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করে, ওই সেনা সদস্যকে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) গুলি করে হত্যা করা হয়। তারা আরো জানায়, ‘দুই হামলাকারী একটি গাড়িতে করে এসে ইসায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়’।
ইসরায়েলের অবৈধ বসতিতে গুলি চালানোর দায় স্বীকার করে নেয় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের একটি জোট, লায়ন্স ডেন। গত কয়েক মাস ধরেই এই সংগঠনটি বেশ সক্রিয় রয়েছে।
১৯৬৭ সালে ৬ দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পশ্চিম তীর দখল করে নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে বিভিন্ন দফায় সেখানে বসতি স্থাপন করেছে দেশটি। পশ্চিম তীরে বর্তমানে প্রায় ছয় লাখ ইসরায়েলি ইহুদির বাস। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এটাকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হয়।