শিরোনাম
২২ বছর পর সোমবার (১৭ অক্টোবর) ভারতের বহু পুরোনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। অথচ সেই দিনও দিল্লিতে উপস্থিত থাকছেন না দলের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী।
জানা গেছে, দিল্লিতে না থাকলেও সভাপতি নির্বাচনে ভোট দেবেন রাহুল। কর্ণাটকের বেল্লারিতেই একটি অস্থায়ী পোলিং বুথ করা হচ্ছে। সেখানে রাহুলসহ আরও ৪০ জন ভারত জোড়োর যাত্রী, যাদের নাম ভোটার তালিকায় আছে, তারা ভোট দেবেন।
সোমবার রাহুলের যাত্রার রেস্ট ডে। এদিন বেল্লারিতেই বিশ্রাম নেবেন ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা। সেখানেই ওই ভোটিং বুথ খোলা হবে।
এদিকে যাত্রা চলাকালীন রাহুল সভাপতি নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, তা নিয়ে বেশ গত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। সব গুঞ্জনে ইতি টেনে রোববার দলের প্রচার বিভাগের প্রধান জয়রাম রমেশ জানিয়ে দিয়েছেন, রাহুল দিল্লিতে না এলেও কর্ণাটক থেকেই ভোট দেবেন। তার সঙ্গেই ভোট দেবেন ৪০ জন।
অন্যদিকে দলের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ভোট দেবেন দিল্লির আকবর রোডের সদর দপ্তরেও। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও সেখানেই ভোট দেবেন।
দীর্ঘ সময় পর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে নেই গান্ধী পরিবারের কোনো সদস্য। তাই দলের আভ্যন্তরীণ নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে বেশকিছু নির্দেশিকা জারি করেছে দলের নির্বাচন পরিচালন কমিটি। তার মধ্যে অন্যতম নির্দেশ ছিল, দলের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিরা নির্দিষ্ট কোনো প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে পারবেন না। দুই প্রার্থীকেই সমানভাবে প্রচারের সুযোগ করে দিতে হবে।
কিন্তু খাড়গের পিছনে গান্ধী পরিবারের মদত স্পষ্ট হতেই নির্বাচনী বিধি শিকেয় তুলে বিভিন্ন রাজ্যের নেতৃত্ব একপক্ষের হয়ে প্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে খাড়গেকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুর। স্বাভাবিকভাবেই সভাপতি নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে।
তবে নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিজেপি যাতে সুবিধা পেয়ে না যায়, সেটাও লক্ষ্য রাখছেন থারুর। দলের ভোটপ্রক্রিয়া নিয়ে বিজেপি নেতাদের কটাক্ষের জবাবে কেরালার এই সংসদ সদস্য বলছেন, বিজেপির উচিত আগে নিজেদের দলে একটা ভোট করানোর চেষ্টা করা।