শিরোনাম
চলমান বিক্ষোভ পরিস্থিতির জন্য আবারও যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে ইরান সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, সামরিকায়ন ও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর ওয়াশিংটন ও তাদের মিত্ররা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ব্যর্থ নীতি অবলম্বন করছে। খবর এএফপির।
ইরানে কঠোর হিজাববিধি লঙ্ঘনের অপরাধে পুলিশি হেফাজতে ২২ বছর বয়সী ইরানি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানজুড়ে প্রায় এক মাস ধরে বিক্ষোভ চলছে। দেশটিতে প্রায় তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ-সহিংসতার ঘটনা এটি। তরুণী এমনকি স্কুলশিক্ষার্থীদেরও বিক্ষোভের সামনের সারিতে দেখা যাচ্ছে। অনেকে হিজাব পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গেও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হচ্ছে।
১৩ সেপ্টেম্বর ইরানের নীতি পুলিশ ২২ বছর বয়সী মাসাকে আটক করেছিল। পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর তিনি কোমায় চলে যান। ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসার মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পরে সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
অন্যদিনের মতো গতকাল ইরানের রাস্তায় বিক্ষোভ হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে এদিন তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা তাদের লক্ষ্য করে বন্দুক তাক করেন। বিক্ষোভকারীরাও ওই কর্মকর্তাকে চিৎকার করে অপমান করতে থাকেন। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওর সত্যতা নিশ্চিত করেছে এএফপি।
বালিয়াসর স্কয়ার এলাকায় স্থাপিত একটি সরকারি বিল বোর্ডে কয়েকজন বিখ্যাত ইরানি নারীর ছবি লাগানো হয়েছে। সেখানে তাঁদের সবাইকে হিজাব পরিহিত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। হিজাব বিধি অতটা সমর্থন করেন না, এমন কয়েকজন নারীর ছবিও সেখানে থাকায় সমালোচনা হচ্ছে।
বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়ে তেলশ্রমিকদের কয়েকজন ধর্মঘট করছেন। মানবাধিকার সংগঠন এইচআরএএনএ’র তথ্য অনুসারে, গতকাল পেট্রোলিয়ামজাত একটি রাসায়নিক কেন্দ্রের ১২ জন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।