শিরোনাম
আফগানিস্তানে আগামী এক বা দুই বছরের মধ্যে সংগঠিত হয়ে আল-কায়েদা যুক্তরাষ্ট্রে হামলা করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা এই সতর্ক বার্তা দিয়েছে। মঙ্গলবার মার্কিন গোয়েন্দা ও জাতীয় নিরাপত্তাসংক্রান্ত বার্ষিক সম্মেলনে ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্কট বেরিয়ার বলেন, আমেরিকার জন্য হুমকি হয়ে উঠার মতো শক্তি সঞ্চয় করতে আল-কায়দার এক বা দুই বছর সময় লাগতে পারে।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর উপপরিচালক ডেভিড কোহেন বলেছেন, আফগানিস্তানে ইতোমধ্যে আল-কায়দার কিছু রাজনৈতিক তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে আল-কায়দা কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠবে, তা এখনই হিসাব করার সময় আসেনি। কিন্তু পরিস্থিতির ওপর যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখছে বলে জাতীয় নিরাপত্তা সম্মেলনে উল্লেখ করেন তিনি।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কিছু আল-কায়দা নেতার আফগানিস্তানে ঢোকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আল-কায়দার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আমিন আল হকের আগস্ট মাসে আফগানিস্তানে প্রবেশের ভিডিওচিত্র মার্কিন কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দলের রাজনীতিবিদরা আফগানিস্তান থেকে অপরিকল্পিত মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপক সমালোচনা করছেন। ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান মাইকেল ওয়াল্টজ ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমেরিকা আরেকটি নাইন-ইলেভেন হামলার সম্মুখীন হতে পারে বলে তার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আল-কায়দা, হাক্কানি নেটওয়ার্কসহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠী এক হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের মতো হামলা চালাতে পারে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক আভ্রিল হাইনেস বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দারা এখনই আফগানিস্তানকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন না। আমেরিকার কাছে এখন গোয়েন্দা অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে ইয়েমেন, সিরিয়া, সোমালিয়া ও ইরাক। এসব এলাকাকে এখন জঙ্গিবাদের জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে।