শিরোনাম
জার্মানির রক্ষণশীলদের নেতা আরমিন ল্যাশেট আগামী সপ্তাহে দলীয় কংগ্রেসের ঘোষণা দিয়েছেন। সেখানে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন এমন ইঙ্গিত রয়েছে।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের উত্তরসূরি হিসেবে সামনে আনা হয়েছিল ল্যাশেটকে। কিন্তু এবারের দেশটির সাধারণ নির্বাচনে ল্যাশেটের নেতৃত্বে সবচেয়ে খারাপ ফল দেখেছে তাঁর দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) । এখন দলের নতুন নেতৃত্ব শিগগিরই ঠিক করার কথা উঠছে। ল্যাশেট বলেন, চেয়ারম্যান থেকে দলীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে ফেডারেল নির্বাহী কমিটি পর্যন্ত দলের নেতৃত্ব ঠিক করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার নির্বাচনে জয়ী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ওলাফ শলৎজ অন্য দুই দলের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠনের জন্য আলোচনা শুরু করেছেন।
এবারের নির্বাচনে ‘কিং মেকারস’ বা সরকার গঠনের চাবি গ্রিন ও এফডিপির হাতে।
বিবিসি বলছে, ওলাফ শলৎজের দল এসপিডি নির্বাচনে জয় দাবি করলেও তাদের চ্যান্সেলর পেতে অন্য দলের সঙ্গে জোট বাঁধার বিকল্প নেই। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সিপিডির পরাজয়ের কারণ হিসেবে অনেকে দেখছেন, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকায় মানুষ নতুনত্বের জন্য এসপিডিকে ভোট দেন। অন্যদিকে এসপিডির অভিবাসন নীতি, জলবায়ু মোকাবিলা, অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তাসহ অন্যান্য নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি সাধারণ নাগরিকদের দৃষ্টি কেড়ে নেয়।
আট বছর ধরে এসপিডি ও রক্ষণশীল দল একসঙ্গে সরকার পরিচালনা করেছে। তবে এবার শলৎজ বলছেন, তিনি গ্রিন ও ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টির (এফডিপি) সঙ্গে জোট করতে চান।
এসপিডির সাধারণ সম্পাদক লার্স ক্লিংবেইল বলেছেন, গ্রিন ও লিবারেলদের সঙ্গে দর-কষাকষির বিষয়টি কাজ করবে না, এমন কিছু ভাবছেন না তিনি।
লিবারেল দলের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বার্লিনে এসপিডির সঙ্গে বৈঠক ভালোভাবে শেষ হয়েছে। আগামী সোমবার আরও বিশদভাবে আলোচনা করা হবে।
এদিকে, ধীরে ধীরে ল্যাশেটের সমর্থন কমছে। তবে এখনো তিনি রক্ষণশীল নেতৃত্বাধীন জোট সরকার গড়ার আশা ছাড়ছেন না। ল্যাশেট বলেছেন, এটা ব্যক্তিত্বের বিষয় নয়, এটা জাতীয় স্বার্থের বিষয়।
ল্যাশেট বলেন, তিনি এখনো রক্ষণশীল নেতৃত্বে গ্রিন ও লিবারেলদের নিয়ে জোটের বিষয়টি সম্ভব বলে মনে করেন। বর্তমান জোট গঠনের আলোচনা কোনদিকে যায় তার দল তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
তবে গতকাল বৃহস্পতিবার এক মতামত জরিপে দেখা গেছে, ৫৩ শতাংশ জার্মান এসপিডি নেতৃত্বাধীন তিন জোটের সরকারকে সমর্থন করছেন আর ২৫ শতাংশ রক্ষণশীল নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন দেন। সূত্র: প্রথম আলো