তাইওয়ানকে গোপনে সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ফানাম নিউজ
  ০৮ অক্টোবর ২০২১, ১১:৫৩

গোপনে তাইওয়ানের সেনাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় বছরখানেক ধরে চলছে এই কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) নাম অপ্রকাশিত সূত্রের বরাতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। সূত্র: আল জাজিরা

পত্রিকাটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় দুই ডজন সেনা কর্মকর্তা তাইওয়ানের স্থল ও নৌসেনাদের অন্তত এক বছর ধরে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।

এরপর সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, মার্কিন প্রশিক্ষকরা অস্থায়ী ভিত্তিতে তাইওয়ানে কার্যক্রম চালাচ্ছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো প্রশিক্ষণ কতদিন ধরে চলছে তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে তারা বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই চলছে এই কার্যক্রম।

এ বিষয়ে জানতে তাইওয়ান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তবে এতে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি। শুধু বলা হয়েছে, সব সামরিক কার্যক্রম বার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে।

তাইওয়ানকে প্রশিক্ষণ সহায়তার বিষয়টি স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করেনি পেন্টাগন। তাদের মুখপাত্র জন সাপল বলেছেন, তাইওয়ানের চাহিদার ওপরই মার্কিন বাহিনীর সামরিক সহায়তা নির্ভর করে।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, চীনের সাম্প্রতিক হুমকির বিরুদ্ধে তাইওয়ানের প্রতি আমাদের সমর্থন এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্ক অটল রয়েছে। আমরা আন্তঃপ্রণালী সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বেইজিংকে প্রতিশ্রুতি পালনের আহ্বান জানাই।

এদিকে, গত বুধবার (৬ অক্টোবর) চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এসময় তাদের মধ্যে তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে কথা হয়েছে।

হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাইওয়ান চুক্তির সঙ্গে আমরা একমত। আমার বিশ্বাস তিনি (জিনপিং) চুক্তির বাইরে কিছুই করবেন না।

সম্প্রতি তাইওয়ানের আকাশসীমায় রেকর্ডসংখ্যক চীনা যুদ্ধবিমান মহড়া চালায়। এটিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন উসকানি’ হিসেবে উল্লেখ করে চীনকে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে তাইওয়ান।

চলতি মাসে চীনের প্রায় ১৫০টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় ‘অনুপ্রবেশ’ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে। তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে চীন।