শিরোনাম
শোকে স্তব্ধ ব্রিটেন। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আর নেই। এমন খবরে যেন ভাষা হারিয়েছেন সবাই। যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি এই রানি ৯৬ বছর বয়সে মারা গেলেন।
রানির মৃত্যুর ঘোষণা দেয় বাকিংহাম প্যালেস।
রানির মৃত্যুর অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিকেলে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে শান্তিপূর্ণভাবে মারা যান রানি এলিজাবেথ।
৭০ বছর ব্রিটেনের সিংহাসনে ছিলেন তিনি। দীর্ঘ এই বর্ণিল জীবনে ব্রিটেনের সমাজ ও রাজনীতিতে অভাবনীয় পরিবর্তনের সাক্ষী তিনি। তার মৃত্যুতে রাজ পরিবারে দীর্ঘ এক শাসনের সমাপ্তি ঘটলো।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটেনের ইতিহাসে অন্য যে কোনো শাসকের চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে সিংহাসনে আসীন ছিলেন। সারাবিশ্বে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে যারা শাসনকাজ পরিচালনা করেছেন তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তার সিংহাসনে আরোহনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চলতি বছরের জুনে চার দিনের বিশাল আয়োজন করে রাজ পরিবার।
তার আগে কোনো ব্রিটিশ শাসকেরই টানা সাত দশক সিংহাসনে আসীন থাকার ইতিহাস নেই। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্ম ২১ এপ্রিল ১৯২৬ সালে। ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মাত্র ২৫ বছর বয়সে ব্রিটেনের সিংহাসনে বসেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
এলিজাবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জ ১৯৩৭ সালে ব্রিটেনের রাজা হন। এলিজাবেথ ছিলেন তখন ব্রিটিশ সিংহাসনের একমাত্র উত্তরাধিকারী। ষোল বছর বয়সে তিনি প্রথম জনসম্মুখে আসেন। আঠার বছর বয়সে সামরিক বাহিনীতে প্রশিক্ষণের জন্য যোগদান করেন। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ব্রিটিশ রাজা ষষ্ঠ জর্জ মৃত্যুর পর এলিজাবেথ সিংহাসনে বসেন।
এরপর ১৯৪৭ সালের ২০ নভেম্বর যুবরাজ ফিলিপের সঙ্গে বিয়ে হয়। তবে দ্য টেলিগ্রাফের মতে, ফিলিপের সঙ্গে এলিজাবেথের প্রথম বাগদান সম্পন্ন হয় ১৯৪৬ সালে। যদিও ১৯৪৭ সালের পহেলা এপ্রিল এলিজাবেথ ২১ বছরে পদার্পণের পর সেটি স্বীকৃতি পায়।
গত বুধবার এক ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার পর রানি এলিজাবেথকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এরপরই তার স্বাস্থ্য নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ। কয়েক মাস আগেই তার সিংহাসনে আরোহনের ৭০ বছর উদযাপন করেছে ব্রিটেন।
বেশ কিছুদিন থেকেই তিনি স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে কয়েক মাস ধরেই জনসম্মুখে আসা কমিয়ে দিয়েছিলেন রানি। বালমোরাল প্রাসাদেই তাকে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছিল। সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।