শিরোনাম
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন লিজ ট্রাস। তার হাত ধরেই দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রধান চার মন্ত্রণালয়ের শীর্ষপদে বসছেন চারজন অশ্বেতাঙ্গ। এমন অভূতপূর্ব মুহূর্ত সৃষ্টি করতে গিয়ে আগের মন্ত্রিসভায় ব্যাপক রদবদল আনতে হয়েছে তাকে। বাদ দিতে হয়েছে বরিস জনসনের মন্ত্রিসভার বহু সদস্যকে।
গত সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) কনজারভেটিভ সদস্যদের ভোটে লিজ ট্রাস বিজয়ী হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল ও সংস্কৃতি মন্ত্রী নাদিন ডরিস।
আগেই ধারণা করা হচ্ছিল, ট্রাসের নতুন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়তে পারেন প্রীতি। কিন্তু তার আগে নিজ থেকেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
নাদিন ডরিসকে অবশ্য থেকে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি মন্ত্রিত্বের বদলে লেখালেখির জগতে ফেরাকেই উত্তম বলে মনে করেছেন।
জনসন সরকারের প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে বাদ পড়েছেন উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বিচার মন্ত্রী ডমিনিক রাব। প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রতিযোগিতায় ট্রাসের প্রতিদ্বন্দ্বী ঋষি সুনাকের সমর্থক ছিলেন তিনি।
বাদ পড়েছেন পরিবহন মন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস, স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলে, লেভেলিং আপ মন্ত্রী গ্রেগ ক্লার্ক এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রী শৈলেশ ভারা।
প্রবীণ বিষয়ক মন্ত্রী জনি মার্সারও বাদ পড়েছেন। মন্ত্রিসভায় যোগদানকারী অন্য ব্যক্তিদের মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যান্ড্রু স্টিফেনসনকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঋষি সুনাকের আরেক সমর্থক সাবেক লেভেলিং আপ মন্ত্রী মাইকেল গোভ জানিয়েছেন, তিনি নতুন সরকারের অংশ হচ্ছেন না।
একসময় গুঞ্জন উঠেছিল ঋষি নিজেও ট্রাসের মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে পারেন। তবে তিনি বিবিসি’কে বলেছেন, এরকম কোনো কিছু আপাতত তার চিন্তায় নেই।
সাবেক কনজারভেটিভ নেতা ইয়ান ডানকান বলেছেন, তাকে নতুন মন্ত্রিসভায় যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সূত্র: বিবিসি