শিরোনাম
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার চন্দ্রাভিযান প্রকল্প আর্টেমিসের মাহাকাশযান চাঁদে প্রেরণের প্রচেষ্টা লম্বা বিরতির মুখে পড়তে পারে। দ্বিতীয় দফাতেও আর্টেমিস মুন রকেট উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হয়েছে।
ছিদ্র দিয়ে জ্বালানী বের হয়ে পড়ার কারণে কারণে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস) যানটি উৎক্ষেপণের জন্য শনিবার আবারও চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে নাসা।
প্রকৌশলীরা এখন রকেটটি পরিদর্শন করতে চান এবং যেকোনো সম্ভাব্য মেরামতের জন্য রকেটটিকে লঞ্চ প্যাডের পরিবর্তে ওয়ার্কশপে নিতে হতে পারে।
এর ফলে পঞ্চাশ বছর বিরতির পর আবারও চাঁদে মানুষ পাঠানোর উচ্চাভিলাষী কর্মসূচি কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে যেতে পারে। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ের আগে সম্ভবত তৃতীয়বার উৎক্ষেপণের চেষ্টা সম্ভব হবে না।
এর আগে ২৯ অগাস্ট কারিগরি ত্রুটির কারণে বহু প্রতীক্ষিত আর্টেমিস ওয়ান রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ শেষ মুহূর্তে স্থগিত করা হয়।
মহাকাশযানটির নিচের দিকে চারটি বড় ইঞ্জিন প্রায় তিন মিলিয়ন লিটার লিকুইড হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন ব্যবহার করে উৎক্ষেপণের বেশিরভাগ শক্তি যোগায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে এই এসএলএসটি উৎক্ষেপণ করার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার সকালে রকেটের হাইড্রোজেন ট্যাঙ্কটি পূরণ করার সময় ছিদ্র দিয়ে জ্বালানী বের হয়ে পড়ছে এমন ইঙ্গিত দিয়ে একটি অ্যালার্ম বেজে ওঠে।
যানটিতে হাইড্রোজেন পাম্প করার সংযোগস্থলে সমস্যাটি চিহ্নিত করা হয়েছে। সমস্যাটি সমাধান করার কয়েক রকম চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি।
মিশন ম্যানেজার মাইক সারাফিন বলেছেন ভবিষ্যতে মহাকাশযানটিতে মানুষ পাঠাতে হলে অনেক বেশি যত্নের প্রয়োজন হবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি অবিশ্বাস্য রকম কঠিন একটি কাজ। এটি এই যানটির একটি প্রাথমিক পরীক্ষামূলক ফ্লাইট। যেমনটা বলা হয়েছিল, আমরা যখন প্রস্তুত হব তখনই আমরা উৎক্ষেপণ করবো। এই প্রাথমিক পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের অংশ হিসাবে, আমরা যানটি সম্পর্কে শিখছি। আমরা শিখছি কিভাবে এটি চালাতে হয়’।
নাসার প্রশাসক বিল নেলসন তার সাথে একমত পোষণ করে বলেন, ‘আমি এটিকে আমাদের মহাকাশ কর্মসূচির একটি অংশ হিসাবে দেখি, যার মধ্যে নিরাপত্তা রয়েছে আমাদের তালিকার শীর্ষে’।
চাঁদের বুকে প্রথমবারের মতো মানবজাতি পা রাখে ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১ রকেটে চড়ে। স্পেস লঞ্চ সিস্টেম হল নাসার তৈরি সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট এবং পঞ্চাশ বছরের বিরতির পরে নতুন করে আবারও চাঁদে নভোচারী এবং সরঞ্জাম ফেরত পাঠানোর জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে যাতে সময়য় লেগেছে এক দশক।
মুন রকেটটি একটি ক্যাপসুল বহন করবে। এই ক্যাপসুলের নাম ওরাইয়ন। এই ওরাইয়ন চাঁদের চারপাশে পরিভ্রমণ করবে। আর্টেমিস মিশনের প্রথম ধাপের অভিযানে কোন নভোচারী থাকবে না। সবকিছু যদি পরিকল্পনামাফিক চলে তাহলে পরবর্তী মিশনগুলোতে মহাকাশচারীরা যোগ দেবেন।