শিরোনাম
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কালো ছায়া পড়েছে পুরো বিশ্বে। ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের নেপথ্যে কী, এ নিয়েও মিশ্র মত রয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের। তবে এর বড় একটি কারণ এবার সামনে এনেছেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের ওপর ইউক্রেনের মালিকানা দাবির চির অবসান ঘটাতে হবে, এমনটিই লক্ষ্য তার। পুতিন জানান, চলমান যুদ্ধের পেছনে দুদেশের কোনো শত্রুতা দেখছেন না তিনি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার কালিনিনগ্রাদের একটি ইনস্টিটিউট পরিদর্শনকালে এক বক্তব্যে রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ইউক্রেনের নারী-পুরুষদের বিরুদ্ধে সেদেশের সরকার আট বছর আগে যে যুদ্ধের ভূমি তৈরি করেছিল সেটিরই সমাপ্তি টানতে তার দেশ এই সামরিক অভিযান চালাচ্ছে।
পুতিন বলেন, নাৎসিবাদের কবল থেকে ডনবাসকে রক্ষা করতেই এ যুদ্ধ। আট বছর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে পাশ্চাত্যপন্থিদের ক্ষমতায় আনার ঘটনা মানতে পারেনি দোনেস্ক, লুহানস্ক ও ক্রিমিয়া উপদ্বীপের জনগণ। তখন সে অঞ্চলের সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে কিয়েভ। যা এখনো চলছে।
২০১৪ সাল থেকে ডনবাস অঞ্চলটি রুশপন্থিদের নিয়ন্ত্রণে। দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক নিয়ে গঠিত ডনবাসে রুশ ভাষাভাষিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওপর বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। পুতিন মনে করেন, ডনবাসকে বেসামরিকীকরণের লক্ষ্যেই তার এ যুদ্ধ। এছাড়াও ইউক্রেন ন্যাটো জোটে যোগ দিক সেটা কোনোভাবেই চান না পুতিন।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো এ অভিযানকে পুতিনের ভূমি আগ্রাসন বলে দাবি করে আসছে। ইউরোপের অনেক দেশ এরমধ্যে মস্কোর ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে।