শিরোনাম
সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় থাকতে পারবেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তি এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সূচনা করে ইতিহাসের গতিধারা বদলে দিয়েছিলেন গর্বাচেভ।
সম্প্রতি গর্বাচেভের মৃত্যু হয়। দীর্ঘদিন গুরুতর অসুস্থতার পর মস্কোর একটি কেন্দ্রীয় হাসপাতালে মারা যান স্নায়ুযুদ্ধকালীন এ নেতার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বোচ্চ প্রভাবশালী এই নেতার মৃত্যুতে বিশ্ব নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার পুতিনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, গর্বাচেভের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় থাকতে পারছেন না তিনি। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের কারণে প্রেসিডেন্ট পুতিন সেখানে অংশ নিতে পারবেন না।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, গত মঙ্গলবার হাসপাতালে গর্বাচেভকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পুতিন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে তিনি গর্বাচেভের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না।
১৯৮৫ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি বিশ্বের কাছে সোভিয়েত ইউনিয়নকে উন্মুক্ত করেছিলেন। অনেকগুলা সংস্কার কর্মসূচী গ্রহণ করেছিলেন এই নেতা। কিন্তু তারপরেও সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঠেকাতে পারেননি।
গত জুন মাসে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে, কিডনির জটিলতায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কী কারণে গর্বাচেভের মৃত্যু হয়েছে তা এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
পশ্চিমা দেশগুলো তাকে একজন সংস্কারক হিসেবেই দেখে, যিনি স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটানোর পরিবেশ তৈরি করেছিলেন। সে সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে গভীর উত্তেজনা ছিল।
পূব-পশ্চিমের সম্পর্কে ব্যাপক পরিবর্তনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখার জন্য ১৯৯০ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। কিন্তু ১৯৯১ সালে যে নতুন রাশিয়ার জন্ম হয় সেখানে রাজনীতিক হিসেবে তার তেমন ভূমিকা ছিল না। তিনি বরং শিক্ষা এবং মানবিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।