শিরোনাম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টের জন্য সৌদি আরবে একজন নারীকে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি অধিকার গোষ্ঠী আদালতের নথির উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি এই ধরনের দ্বিতীয় ঘটনা।
ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাও (ডন) জানায়, নুরাহ আল-কাহতানি (সৌদি আরবের) সামাজিক কাঠামো ভাঙতে ইন্টারনেট ব্যবহার এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনশৃঙ্খলা লঙ্ঘন করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে আপিল করে এই গুরুদণ্ড পেয়েছেন।
অধিকার গোষ্ঠীটি জানায়, নুরাহ আল-কাহতানিকে রাজ্যের কাউন্টার-টেরোরিজম এবং অ্যান্টি-সাইবার ক্রাইম আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
নিহত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির প্রতিষ্ঠিত ডন আদালতের নথির একটি অনুলিপি শেয়ার করেছে। কিন্তু বার্তা সংস্থা এএফপি বিষয়টি যাচাই করতে পারেনি।
এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কাহতানি সম্পর্কে খুব অল্প তথ্য পাওয়া গেছে। এমনকি তার একটি সক্রিয় টুইটার অ্যাকাউন্ট আছে বলেও মনে হয় না।
ডন জানায়, তাকে ২০২১ সালের জুলাই মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং বিশেষায়িত ফৌজদারি আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল।
ডনের উপসাগরীয় অঞ্চলের গবেষণা পরিচালক আবদুল্লাহ আলাউদ বলেন, এই মাসে সালমা আল-শেহাবের মর্মান্তিক ৩৪ বছরের কারাদণ্ডের মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরে কাহতানির ৪৫ বছরের সাজা...। এতে প্রতীয়মান হয়, সৌদি কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের সামান্য সমালোচনার জন্য শাস্তি দিতে কতটা উৎসাহ বোধ করছে।
আদালতের নথি অনুসারে, দুই সন্তানের জননী শেহাবও এই মাসে আপিলের পর দীর্ঘকালের কারাদণ্ড পেয়েছেন। ভিন্নমতাবলম্বীদের পোস্টগুলো শেয়ার করে জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সূত্র : এনডিটিভি, এএফপি