শিরোনাম
পানামার জঙ্গলে এ বছর ৫০ জনের বেশি অভিবাসী মারা গেছেন। দেশটির জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে তারা মারা যায়। পানামা জঙ্গলকে অভিবাসীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পথ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। মধ্যে আমেরিকার দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছে।বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
আগের বছরগুলোর তুলনায় এ বছর মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। কারণ এর আগে দেশটির দারিয়েন গ্যাপ নামক জায়গা থেকে গড়ে ২০-৩০টি মরদেহ উদ্ধার করা হতো। জাতিসংঘ পানামা ও কলম্বিয়া সীমান্তের এ স্থানটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক পথ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এদিকে পানামার ফরেনসিক মেডিসিন এবং ফরেনসিক সায়েন্স ইনস্টিটিউট এ বছর দারিয়েন প্রদেশে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ৫৩ জন অভিবাসীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। বুধবার (৬ অক্টোবর) পানামার ফরেনসিক সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক জোস ভিনসেন্ট এ তথ্য জানান।
অভিবাসীরা দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো থেকে প্রথমে মেক্সিকো সীমান্তে যায়। পরে সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করে তারা। কিন্তু মেক্সিকো সীমান্তে যাওয়ার এ পথটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ ভয়ঙ্কর জঙ্গল। যেখানে শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগই নয় অভিবাসীদের সম্মুখীন হতে হয় বিষধর সাপ, কঠিন ভূখণ্ড এবং বিপজ্জনক পানি পথের। এছাড়াও নিয়মিত ধর্ষণ এবং ডাকাতিরও শিকার হন তারা।
পানামা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে কমপক্ষে ৭০ হাজার মানুষ বিপজ্জনক দারিয়ান গ্যাপ পাড়ি দিয়েছে। যা আগের পাঁচ বছরের সমান। পানামার অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এ বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর দুই শিশুসহ ১০টি মরদেহ পাওয়া খবর জানিয়েছে।
করোনা মহামারির মাসগুলোতে এ পথ দিয়ে অভিবাসীদের গমন উল্লেখযোগ্য হারে কমলেও এখন আবার ধীরে ধীরে এ পথের ব্যবহার বাড়ছে।