শিরোনাম
ইরাকের শক্তিশালী শিয়া নেতা মোকতাদা আল-সদর সোমবার রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ইরাকে সরকার গঠন নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে অচলাবস্থা চলছে। এরমধ্যেই মোকতাদা আল-সদর রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেন।
আর এরপরই রাজধানী বাগদাদে ছড়িয়ে পড়ে সংঘাত। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, বাগদাদে গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন।
মোকতাদা আল-সদরের অনুসারীররা বাগদাদের গ্রিন জোনের সরকারি বাড়িগুলোতে ঢুকে পড়ে।
তাছাড়া অনেকে রাস্তায় নেমে আসেন। এরপরই মোকতাদা আল-সদর ও অন্যন্য শিয়া রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। বলা হচ্ছে, মোকতাদার বিরোধীরা গুলি চালিয়েছে।
এসব ঘটনার পর রাজধানী বাগদাদে কারফিউ জারি করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে, সরকারি বাড়িগুলো থেকে সবাই যেন বের হয়ে যান; নয়ত বল প্রয়োগ করে স্থিতিশীলতা আনা হবে।
এদিকে গত বছরের অক্টোবর মাসে মোকতাদা আল সদরের অনুসারীরা ইরাকের সংসদ নির্বাচনের বেশিরভাগ আসনে জয় পায়। কিন্তু তবুও সরকার গঠন করতে পারেননি তিনি।
রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলার মধ্যে এ বছরের জুনে নিজ দলের সকল সংসদ সদস্যদের পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেন তিনি।
এরপর জুলাই মাসে তার বিরোধীরা সরকার গঠন ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার চেষ্টা করে। এরপর মোকতাদা আল-সদরের সমর্থকরা সংসদের ভেতর ঢুকে পড়েন এবং সংসদের বাইরে অবস্থান নেন। ওই সময় থেকেই তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
এর মাঝেই আল-সদর রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় বিষয়টি তার সমর্থকরা মেনে নিতে পারেনি। ফলে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান বিরোধী মোকতাদা আল-সদর এর আগেও রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর আবার রাজনীতির মাঠে ফিরে এসেছিলেন তিনি।
২০০৩ সালে যখন যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করে তখন থেকেই এর বিরুদ্ধে নামেন মোকতাদা আল-সদর। তার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী বাহিনী গঠন করা হয়।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র না। তিনি ইরাককে ইরানের প্রভাবমুক্ত রাখার জন্যও কাজ করে থাকেন। এ কারণে ইরানপন্থি শিয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের জোট গঠন করেন না তিনি।
সূত্র: আল আরাবিয়া, আরব নিউজ