শিরোনাম
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের নয়ডাতে মাত্র ৯ সেকেন্ডের নিয়ন্ত্রিত এক বিশাল বিস্ফোরণে দেশটির টুইন টাওয়ার-খ্যাত জোড়া ‘সুপারটেক’ ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিশাল বিস্ফোরণের মাধ্যমে ধুলার মেঘ তুলে মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে পড়ে ভবন দুটি। কিন্তু এবারই প্রথম নয়, পৃথিবীর বুকে এমন অনেক বহুতল ভবন ছিল, যেগুলোকে মুহূর্তের মধ্যেই ধূলিসাৎ করা হয়েছে।
ওশান টাওয়ার : ২০০৬ সালে আমেরিকার টেক্সাসে ‘ওশান টাওয়ার’ নামে একটি বিলাসবহুল আবাসন তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। ঠিক দুই বছর পর নির্মাণ কাজ চলাকালে ৩১ তলার এই বহুতল ভবনে ফাটল দেখা দেয়। মাটির নিচে প্রায় ১৪ ইঞ্চির মতো অংশ ধসেও পড়ে। এর ফলে ভবনটি এক দিকে হেলে যায়। এ কারণে ওশান টাওয়ার ‘লিনিং টাওয়ার অব সাউথ পাদ্রে’ নামেও পরিচিত।
পুনর্নিমাণ করতে হলে খরচ প্রচুর। সব ভেবে ২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ভবনটি বিস্ফোরণের মাধ্যমে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
দ্য ট্রাম্প প্লাজা : ১৯৮৪ সালে আমেরিকার নিউ জার্সির আটলান্টিক সিটিতে তৈরি করা হয় ‘দ্য ট্রাম্প প্লাজা’। হোটেল ও ক্যাসিনো হিসেবে ৩৪ তলার এই ভবনটি বিশেষ পরিচিত ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই হোটেল এবং ক্যাসিনো ব্যবসার ক্ষতি হতে থাকে। প্রায় চার দশক পর ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভবনটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়।
মোট তিন হাজার ডায়নামাইট স্টিক ব্যবহার করে ২০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে এই বহুতলটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়।
‘দ্য এএফই টাওয়ার’ : জার্মানের ফ্র্যাঙ্কফার্ট এলাকায় ‘দ্য এএফই টাওয়ার’ নামের বহুতল ভবনটি অবস্থিত ছিল। ১৯৭০ সালে তৈরি হওয়া এই ভবনটি জোহান ভল্ফগ্যাঙ্গ গ্যেঠে ইউনিভার্সিটির অংশ ছিল।
৩৮ তলার এই ভবনটি ১১৬ মিটার উঁচু ছিল। ২০১৪ সালে মোট ৯৫০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করে ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। ১০ সেকেন্ডের মধ্যে ৩৮ তলার ভবনটি ভেঙে পড়ে।
‘দ্য মিনি প্লাজা’ : ১৬৫ মিটার উঁচু দুবাইয়ের ‘দ্য মিনি প্লাজা’ বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ ২০০৭ সালে শুরু হয়। ১৪৪টি তলা এবং চারটি টাওয়ার তৈরি করার পর সিদ্ধান্ত হয়, এই জায়গায় অন্য কিছু তৈরি করা হবে।
নির্মাণের কাজ অসম্পূর্ণ থাকা অবস্থায় ২০২০ সালের নভেম্বরে ছয় হাজার কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করে প্রায় ১০ সেকেন্ডের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়।
‘দ্য গোল্ডেন ফ্লাওয়ার বিল্ডিং’ : ৩৮৭ মিটার উঁচু ‘দ্য গোল্ডেন ফ্লাওয়ার বিল্ডিং’টি চীনের উচ্চতম বহুতলগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল। শি’য়ান সিটিতে অবস্থিত বহুতল ভবনটির নির্মাণের কাজ শেষ হয় ১৯৯৯ সালে।
২৬ তলার এই ভবনটি বহু বছর কোনো কাজেই ব্যবহার করা হয়নি। ১৬ বছর ফাঁকা অবস্থায় পড়ে থাকায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে।
২০১৭ সালে ১২৭০ কেজি ওজনের ডায়নামাইট এবং ১২,০০০ ডিটোনেটর ব্যবহার করে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ভবনটি ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হয়।