শিরোনাম
গত জুলাইয়ে ইরানে সেপিদে রাশনো নামে ২৮ বছর বয়সী এক তরুণীকে বাসের ভেতর মারধর করা হয়। তাকে মারধর করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কিন্তু মারধরের শিকার হলেও তাকেই গ্রেফতার করে ইরানের পুলিশ। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নেওয়া হয় জেলে।
সেপিদে রাশনোর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি ‘অশোভন’ পোশাক পরে রাস্তায় বের হয়েছেন।
৩০ জুলাই সেই সেপিদে রাশনোকে উপস্থিত করা হয় টিভির পর্দায়। সেখানে দেখা যায় হিজাব পরে প্রকাশ্যে নিজের ‘কৃতকর্মের’ জন্য ক্ষমা চাইছেন রাশনো। তবে তখন তাকে বেশ মনমরা দেখা যায়। গত ১২ জুলাই ইরানে জাতীয় হিজাব দিবস ঘোষণা করা হয়। এরপর রাশনোসহ বেশ কয়েকজনকে অশালীন কাপড় পরার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান হার্না জানিয়েছে, রাশনোকে শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়েছে, টিভির সামনে সে উপস্থিত হওয়ার পর যা স্পষ্ট হয়েছে।
১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামিক বিপ্লবের পর রাস্তায় নারীদের জন্য হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা হয়।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এ নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ইব্রাহিম রাইসি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেপিদে রাশনোর টিভিতে ক্ষমা চাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন ইরানের অনেক নারী। তারা বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আন্দোলন করছেন। তাছাড়া বর্তমানে রাশনোর অবস্থান কোথায় সেটিও জানতে চাচ্ছেন তারা।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান