রুশদির ওপর হামলার নিন্দা জানালেন ইমরান খান

ফানাম নিউজ
  ১৯ আগস্ট ২০২২, ১৬:৫৮

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক সালমান রুশদির ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এই ঘটনাকে তিনি ‘ভয়ানক’ ও ‘দুঃখজনক’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন।

ইমরান খান বলেছেন, রুশদির লেখা বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ নিয়ে মুসলিম বিশ্বের ক্ষোভ প্রকাশ ঠিক আছে। কিন্তু তাই বলে তো তার ওপর হামলা করা যায় না। ওই ক্ষোভ এই হামলার ন্যায্যতা দিতে পারে না।

তিনি বলেন, ‘রুশদি বুঝতে পেরেছিলেন, কারণ তিনি নিজেও মুসলিম পরিবার থেকে এসেছেন। তিনি আমাদের হৃদয়ে নবীর প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার বিষয়ে জানেন। তিনি এটা জানতেন’।

তিনি আরও বলেন, ‘সুতরাং রাগটা আমি বুঝতে পেরেছি, কিন্তু আপনি যা ঘটেছে তা সমর্থন করতে পারেন না’।

দশ বছর আগেই, ইমরান খান ভারতে আয়োজিত একটি ইভেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করেছিলেন কারণ সেখানে রুশদির উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল।

তবে ইমরান খানের পক্ষ থেকে রুশদির প্রতি সহিংস পদক্ষেপকে কখনও সমর্থন করতে দেখা যায়নি।

যদিও পাকিস্তানের নেতাদের রুশদির ওপর হামলার নিন্দা জানাতে দেখা যায়নি। সেখানে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী, যিনি কিনা তার রাজনৈতিক অবস্থান টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন, তার পক্ষ থেকে এমন নিন্দা জানানোর বিষয়টি এক অর্থে অপ্রত্যাশিত।

ইমরান খান রুশদির ওপর হওয়া হামলার নিন্দা করলেও এই ঘটনার প্রশংসা করেছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

অনলাইনে শেয়ার করা এক বিবৃতিতে এই হামলার প্রশংসা করার পাশাপাশি তার পূর্বসূরি আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির ফতোয়ার কথাও স্মরণ করেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, 'ফতোয়াটি ছিল এমন এক বুলেট ছোড়ার মতো, যা তার লক্ষ্যে আঘাত করা না পর্যন্ত ছুটতেই থাকত’।

৩৩ বছর আগেই স্যাটানিক ভার্সেস বইয়ে ইসলাম ধর্মকে হেয় করার অভিযোগে তৎকালীন ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রহুল্লাহ খোমেনি তার ও তার বইয়ের প্রকাশকদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেছিলেন। এমনকি তিনি বলেছিলেন, কেউ রুশদিকে হত্যা করতে গিয়ে নিহত হলে সে শহীদ, সে জান্নাতে যাবে।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের শাটাকোয়া ইনস্টিটিউশনে ভাষণ দিতে গিয়ে ছুরি হামলার শিকার হন বিশ্বখ্যাত লেখক ও ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি। ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ১০-১৫ বার কোপানো হয় রুশদিকে। তার ঘাড়েও কোপ মারা হয়। তবে ভাগ্যের জোরে তিনি বেঁচে আছেন। রুশদি বেঁচে আছেন শুনে অবাক হয়েছেন তার ওপর হামলাকারী হাদি মাতার। লেবাননী বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক হাদি মাতার আদর্শিক ভাবে ইরানের ইসলামী সরকারের প্রতি অনুগত।