শিরোনাম
একটি যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়ার জন্য রাশিয়ায় সেনা পাঠাচ্ছে চীন। রাশিয়ার নেতৃত্বে অনুষ্ঠেয় এ মহড়ায় আরও অংশ নেবে ভারত, বেলারুশ, মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান ও অন্যান্য দেশ।
সম্প্রতি চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। খবর রয়টার্সের।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ যৌথ সামরিক মহড়ায় চীনের অংশগ্রহণ বর্তমান আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
ইউক্রেনে ব্যয়বহুল যুদ্ধ চালানোর মধ্যেই গত মাসে মস্কো ঘোষণা করে, ৩০ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘ভস্তক’ মহড়ার আয়োজন করার। তখন মস্কো বলেছিল— মহড়ায় বেশ কিছু দেশের বাহিনী যুক্ত হবে। কিন্তু কোন দেশের তা বলা হয়নি।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, রাশিয়ার সঙ্গে চলমান বার্ষিক সহযোগিতামূলক চুক্তির অংশ হিসেবে তারা মহড়ায় অংশ নেবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মহড়ায় অংশ নেওয়ার লক্ষ্য হচ্ছে— এতে অংশ নিতে যাওয়া দেশের বাহিনীগুলোর সঙ্গে বাস্তবিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা গভীর করা, কৌশলগত সহযোগিতার মাত্রা বৃদ্ধি এবং নানাবিধ নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখানোর সক্ষমতা বাড়ানো।
সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অধীনে চীন এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে গভীর হয়েছে।
আগের বছরের এ মাসে রাশিয়া ও চীন যৌথ সামরিক মহড়া করেছিল উত্তর-মধ্য চীনে। সেখানে অংশ নিয়েছিল ১০ হাজারেরও বেশি সেনা। সেই সময় এ মহড়ার প্রশংসা করেছিলেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।
পরে অক্টোবরে রাশিয়া ও চীন জাপান সাগরে যৌথভাবে নৌমহড়া চালায়। একদিন পর মস্কো ও বেইজিংয়ের যুদ্ধজাহাজ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যৌথভাবে প্রথমবারের মতো টহল দেয়।
পরের মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানায়, দুটি চীনা ও সাতটি রুশ যুদ্ধবিমান তাদের আকাশসীমায় ঢোকার পর সেগুলোকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
আর এর পর ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি হামলা চালানোর আগে বেইজিং ও মস্কো ‘সীমাহীন’ অংশীদারত্বের কথা ঘোষণা করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে চীন— এমনটি তারা দেখেননি এবং মস্কোকে বেইজিং সামরিক সহযোগিতাও দেয়নি।