শিরোনাম
ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির ওপর হামলাকারী হাদি মাতার (২৪) বলেছেন, ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর কয়েক পৃষ্ঠা পড়ার পরই তাকে হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করি।
এ ঘটনায় তিনি মোটেও অনুতপ্ত নন। নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সব কথা বলেন। খবর আল-আরাবিয়ার।
কারাগার থেকে ভিডিও'র মাধ্যমে মার্কিন গণমাধ্যমকে হাদি মাতার এ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
হাদি মাতার আরও বলেন, আমি ইরানের প্রয়াত ধর্মীয় শীর্ষ নেতা রুহুল্লাহ খোমেনির ভক্ত। তিনি, মহান নেতা ছিলেন।
রুশদির বই পড়েই মনে হয়েছে, তিনি ভালো লেখক নন, তিনি কপট, তার লেখনিতে আছে শুধুই অহেতুক ইসলাম বিদ্বেষ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার নিউইয়র্কের শিটোকোয়া ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান মঞ্চে কথা বলছিলেন সালমান রুশদি। এ সময় হঠাৎ মঞ্চে উঠে মাত্র ২০ সেকেন্ডে ১৫টি ছুরিকাঘাত করেন ওই হামলাকারী।
গত শনিবার আদালতে নেওয়া হলে তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। আদালত তাকে জামিন না দিয়ে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনজীবীরা আদালতকে জানিয়েছেন, হামলাকারী হাদি মাতার ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডের সমর্থক এবং পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাচেষ্টা করেছেন।
পুলিশ বলছে, হামলাকারী মঞ্চে উঠে সালমান রুশদি ও তার সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর ওপর হামলা চালান। সালমান রুশদির ঘাড়ে, মুখে ও তলপেটে ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকটি আঘাত করা হয়। পরে হামলাকারীকে ধরে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
অ্যান্ড্রু ওয়াইলি নামের সালমান রুশদির এক কর্মকর্তা বলেন, সালমান রুশদি প্রাণে বেঁচে গেলেও একটি চোখ হারাতে পারেন।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত বুকার পুরস্কারজয়ী ৭৫ বছর বয়সি লেখক রুশদি ১৯৮১ সালে তার লেখা বই ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন।
কিন্তু ১৯৮৮ সালে সালমান রুশদির চতুর্থ বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর জন্য তাকে ৯ বছর লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল।
২০০০ সাল থেকে তিনি নিউইয়র্কে বসবাস করছেন, ২০১৬ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করেন।
বইটি প্রকাশের এক বছর পর ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি সালমান রুশদির মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেন। সেই সঙ্গে তার মাথার দাম হিসেবে ৩ মিলিয়ন (৩০ লাখ) ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেন।