শিরোনাম
দুর্নীতির চার মামলায় মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে আরো ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে জান্তা শাসিত দেশটির একটি আদালত।
সোমবার (১৫ আগস্ট) ওই রায় ঘোষণা করা হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান মিয়ানমারের এক কর্মকর্তা। যিনি সু চির বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত আছেন।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চি নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতায় ফেরে দেশটির সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার হন সু চি। শান্তিতে নোবেল জয়ী ৭৭ বছরের সু চির বিরুদ্ধে অন্তত ১৮টি মামলা হয়েছে। ঘুষ গ্রহণ থেকে শুরু করে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা ওই সব মামলায় সু চির সর্বোচ্চ ১৯০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
সু চি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দুর্নীতি, সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানি, কোভিড মহামারির বিধিনিষেধ লঙ্ঘন এবং টেলিযোগাযোগ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এর আগে সু চিকে আরও ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি রাজধানী নিপিধোর একটি কারাগারে বন্দি আছেন।
সোমবার তাকে ‘দ্য ডাউ খিন কি ফাউন্ডেশনের’ তহবিল তছরুপের অভিযোগে দোষীসাব্যস্ত করে কারাদণ্ডের এ সাজা দেওয়া হয় বলে জানান ওই কর্মকর্তা। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা নিষেধ বলে ওই কর্মকর্তা নিজের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। অভ্যুত্থানের পর সু চির দলের হাজার হাজার কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নির্যাতন এমনকি হত্যাও করা হয়েছে। অনেকে কারাগারে বন্দি আছেন। যাকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ।
সু চির মামলার শুনানিতে সাংবাদিকদের আদালতে হাজির থাকার বিষয়ে সেনা কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে তার মামলা এবং বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায় না। এমনকী সুচির কোনো আইনজীবীর পক্ষেও মামলা নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলার কোনো ধরনের অনুমতি নেই।
সু চির বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রমের বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের উপ পরিচালক ফিল রবার্টসন বলেন, ‘এটি তার অধিকারের বিরুদ্ধে একটি ব্যাপক আক্রমণ এবং তাকে ও তার দল এনএলডিকে চিরতরে সমাহিত করার পরিকল্পনার অংশ।
সোমবারের রায়ের বিষয়ে জানতে রয়টার্স থেকে দেশটির জান্তা সরকারের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ছয় দশকের মধ্যে পাঁচ দশকই মিয়ানমারের ক্ষমতায় আছে দেশটির সেনাবাহিনী।