শিরোনাম
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে খালি হওয়া নয়টি আসনের উপ-নির্বাচনে একাই লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, যা দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন রেকর্ড হতে যাচ্ছে। কারণ এর আগে কোনো প্রার্থী এক সঙ্গে এতটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। খবর জিও নিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি পাঞ্জাবের উপ-নির্বাচনের পর পাকিস্তানের রাজনীতিতে এ নির্বাচনকেও গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের জন্য এটি আরও একটি পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। কারণ পাঞ্জাবে বড় জয় পেয়েছে ইমরানের দল।
জানা গেছে, ইমরান খান মারদান, চরসাদ্দা, পেশোয়ার, কুররাম, ফয়সালাবাদ, নানকানা, মালির, কোরাঙ্গি ও করাচি দক্ষিণ আসনে নির্বাচন করবেন।
এক প্রার্থী কত সংখ্যক আসনে লড়বেন, এ নিয়ে কোনো আইনি বিধিনিষেধ নেই পাকিস্তানে। তবে নির্বাচনের পর শুধু মাত্র একটি আসনই দখলে রাখতে পারবেন কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এ ক্ষেত্রে যদি একের বেশি আসনে জেতেন ইমরান, তা হলে বাকি আসনগুলিতে আবারও নির্বাচন করতে হবে। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে বাকি আসনে নির্বাচন করতে হবে কমিশনকে।
অনাস্থা ভোটে ইমরানের পরাজয়ের পর গত ১১ এপ্রিল কমপক্ষে ১২৩ জন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতা পদত্যাগ করেন। গত ২৮ জুলাই তাদের মধ্যে ১১ জনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন স্পিকার। ওই ১১ আসনের মধ্যে দুটি আসনে দুই জনপ্রতিনিধি এরই মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন।
তাই বাকি ৯ আসনে নির্বাচন ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর এই ৯ আসনে উপ-নির্বাচন।